Purulia: শিলান্যাস হয়েছে ৭ বছর আগে, কিন্তু আজও সেতু হয়নি! এবার কাজে নামলেন গ্রামবাসীরাই...
Purulia: ২০১৬ সালে আড়ষা ব্লকের বামুনডিহা ও পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের কাঁটাবেড়া গ্রামের মাঝে কংসাবতী নদীর উপর ১৪৭ মিটার স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের খাতে ৯ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। কাজ শুরুও করে এক নির্মাণকারী সংস্থা। তারপর কোনও অজানা কারণে হঠাৎই সেই কাজ বন্ধ হয়।
মনোরঞ্জন মিশ্র: ভোট আসে, ভোট যায়, জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে মেলে নানা প্রতিশ্রুতি, কিন্তু গ্রামবাসীদের সেতু নির্মাণের দাবি পূরণ হয় না। অথচ শিলান্যাস হয়ে গিয়েছে। তার পরেও দীর্ঘ ৭ বছর ধরে থমকে রয়েছে সেতু তৈরির কাজ। তাই প্রশাসনের উপর ভরসা না রেখে গ্রামবাসীরা নিজেরাই কংসাবতী নদীর উপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছেন। ঘটনা পুরুলিয়ার আড়ষা ব্লকের বামুনডিহা ও পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের কাঁটাবেড়া গ্রাম। এই দুই গ্রামের সংযোগস্থল কংসাবতী নদী। সেই নদীতে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করার কাজে লেগে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। বিগত কয়েক বছর ধরে বর্ষার সময় কংসাবতীতে জল বাড়লে এ ভাবেই বাঁশের সাঁকো তৈরি করে নিজেদের পারাপারের ব্যবস্থা করেন গ্রামবাসীরা। এতে ঝুঁকি থাকলেও নিরুপায় তাঁরা।
আরও পড়ুন: Malbazar: হেঁটে পার হচ্ছিলেন নদী, লহমায় টেনে নিয়ে গেল তীব্র স্রোত! বোনের চোখের সামনে দিদির মৃত্যু...
২০১৬ সালে আড়ষা ব্লকের বামুনডিহা ও পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের কাঁটাবেড়া গ্রামের মাঝে কংসাবতী নদীর উপর ১৪৭ মিটার স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের খাতে ৯ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। কাজ শুরুও করে এক নির্মাণকারী সংস্থা। তারপর কোনও অজানা কারণে হঠাৎই সেই কাজ বন্ধ হয়। তখন থেকেই প্রায় ৭ বছর পেরিয়েছে। স্থগিত রয়েছে সেতু নির্মাণের কাজ। ফলে, চরম সমস্যায় বামুনডিহা, জুরাডি, তুম্বাঝালদা, কাঞ্চনপুর, কুদগাড়া, জামবাইদ, বিরচালি, মানপুর, আহাড়রা সহ ১৫-২০ টি গ্রামের মানুষজন।
ওই এলাকার মানুষজনের প্রধান জীবিকা কৃষি। সারা বছর ধরে গ্রামবাসীরা শাকসবজি ও অন্যান্য ফসল উৎপাদন করেন। পরে তাঁদের উৎপাদিত সেই সব আনাজপাতি বিক্রিও করেন। কিন্তু তখনই মুশকিল। এসব বিক্রি করতে বাজার-অঞ্চলে যেতে হয় বহু ঘুরপথে। সেতু না থাকায় ৩০-৩১ কিমি ঘুরে দেউলঘাটাসেতু হয়ে তাঁদের ফসল বিক্রি করতে নিয়ে যেতে হয় তাঁদের। তাঁরা যান চাষ মোড়, ফরেস্ট মোড়, পুরুলিয়া শহরে। গ্রামবাসীদের দাবি, বামুনডিহা ও কাঁটাবেড়ায় স্থায়ী সেতু হলে ৩০-৩১ কিমি দূরত্ব কমে গিয়ে দাঁড়াবে ৭-৮ কিমিতে। পথও অনেক সোজা হবে।
আরও পড়ুন: Malbazar: সারারাত ভারী বৃষ্টি! ভাঙনে দিশাহারা এলাকাবাসী, নদীগর্ভে তলাচ্ছে জমিজমা, গ্রাম...
গ্রামবাসীরা জানান, ব্লক প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে সেতু নির্মাণের জন্য বারবার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের সেই দাবি আজও পূরণ হয়নি। তাই এবার সরকারের উপর ভরসা না রেখে তাঁরা একরকম বাধ্য হয়েই নদী পারাপারের জন্য কাঠ ও বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী এক সেতু তৈরি করছেন।