দিল্লির সাহসিনীকে মরণোত্তর মার্কিন সম্মান
দিল্লির চলন্ত বাসে পৈশাচিক গণধর্ষণ ও অত্যাচারের শিকার ২৩ বছরের তরুণীকে সাহসিকতার জন্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নারী দিবসের দিন বিশ্বব্যাপী আরও দশ সাহসিনীর সঙ্গে দিল্লির সাহসী তরুণীকে মরণোত্তর এই সম্মান দেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা ও স্টেট সেক্রেটারি জন কেরি। সোমবার সে দেশের সরকারি সূত্রে দামিনীকে সম্মান জানানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
দিল্লির চলন্ত বাসে পৈশাচিক গণধর্ষণ ও অত্যাচারের শিকার ২৩ বছরের তরুণীকে সাহসিকতার জন্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নারী দিবসের দিন বিশ্বব্যাপী আরও দশ সাহসিনীর সঙ্গে দিল্লির সাহসী তরুণীকে মরণোত্তর এই সম্মান দেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা ও স্টেট সেক্রেটারি জন কেরি। সোমবার সে দেশের সরকারি সূত্রে দামিনীকে সম্মান জানানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
``নিজের ওপর চলা পৈশাচিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে মৃত্যুশয্যাতে থেকেও মেয়েটি যে ভাবে লড়াই চালিয়ে গেছে তা লাখও ভারতীয় মহিলাদের মনে সাহস জুগিয়েছে। শুধু তাই নয় মেয়েটির প্রতিবাদ যৌননিগ্রহের শিকার সব মেয়েদেরই মানসিক অবসাদ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।`` ও দেশের সংশ্লিষ্ট দফতর মেয়েটিকে পুরস্কৃত করার কারণ হিসাবে এই কারণ ব্যাখা করেছে।
একটি নিম্নবিত্ত শ্রমিক পরিবারের সাধারণ মেয়েটির লড়াই সারাদেশের যুবসমাজে জনজাগরণের সৃষ্টি করেছিল বলেও স্বীকার করা হয়েছে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে।
গত বছরের ডিসেম্বরে দিল্লির রাজপথে একটি চলন্ত বাসে ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করে তার ওপর অকথ্য অত্যাচারের পর বাস থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয় ছয় দুষ্কৃতী। হাসপাতালে শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে লড়তেই পুলিসের কাছে দু`বার জবানবন্দী দিয়েছিল ওই সাহসী মেয়েটি। বাঁচার আর্তির সঙ্গেই চেয়েছিল দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তি। মেয়েটি শেষ পর্যন্ত মৃত্যু কাছে হার মানলেও তার অদম্য সাহসের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল গোটা দেশ। স্বাধীনোত্তর ভারত প্রতিবাদের এক অন্য রূপ দেখেছিল। সেই প্রতিবাদের জেরে নারী সুরক্ষার জন্য নয়া আইন গঠনে সচেষ্ট হয়েছে সরকার। তৈরি হয়েছে এ বিষয়ে নতুন অর্ডিন্যান্স।
২০০৭ থেকে প্রতিবছর সারা বিশ্বে নজিরবিহীন সাহসের অধিকারিণীদের এই পুরস্কার দেওয়া হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। এখনও পর্যন্ত ৬৭ টি দেশের ৪৫ জন সাহসিনী এই পুরস্কার পেয়েছেন।