'ইসলামিক নাম'-এ ভূমিষ্ঠ শিশুর নাম রাখা যাবে না, নিষেধাজ্ঞা জারি করল কমিউনিস্ট চিন
কমিউনিস্ট চিনের নয়া ফতোয়া, এখন থেকে 'ইসলামিক নাম'-এ কোনও ভূমিষ্ঠ শিশুর নাম রাখা যাবে না। চিনের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জিনজিয়াং প্রদেশে এই ফতোয়াই জারি করেছে দেশের কমিউনিস্ট সরকার। 'দাড়ি রাখা যাবে না', 'বোরখা পরা যাবে না', এখন থেকে নিজের শিশুর নামও নিজের পছন্দ মত রাখতে পারবে না ভূমিষ্ঠ শিশুর মা-বাবা কিংবাঅভিভাবকরা। চিনের কমিউনিস্ট সরকারের দাবি দেশে বেড়ে চলা 'মুসলিম উগ্রপন্থা'কে রুখতেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সমাজকর্মীরা বলছেন, চিনের কমিউনিস্ট প্রশাসন এই ফতোয়া জারি করে নাগরিকের মৌলিক অধিকারেই হস্তক্ষেপ করছে। চিনের মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ, "এই নীতি ভীষণ ভয়ংকর এবং স্পষ্টভাবে এটা 'ধর্মীয় বিশ্বাস এবং মতপ্রকাশের আন্তর্জাতিক অধিকার'কে উল্লঙ্ঘন করছে"। চিনের মানবাধিকার কমিশনের ডিরেক্টর সোফি রিচার্ডসনের মত, "উগ্রপন্থার নামে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে খর্ব করার চেষ্টা করা হচ্ছে"। চিনের 'নাম ফতোয়া'র নীতিকে কার্যত কটাক্ষ করেই রিচার্ডসন আরও বলেন, এটি একটি "অবাস্তব নিষেধাজ্ঞা"।
ওয়েব ডেস্ক: কমিউনিস্ট চিনের নয়া ফতোয়া, এখন থেকে 'ইসলামিক নাম'-এ কোনও ভূমিষ্ঠ শিশুর নাম রাখা যাবে না। চিনের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জিনজিয়াং প্রদেশে এই ফতোয়াই জারি করেছে দেশের কমিউনিস্ট সরকার। 'দাড়ি রাখা যাবে না', 'বোরখা পরা যাবে না', এখন থেকে নিজের শিশুর নামও নিজের পছন্দ মত রাখতে পারবে না ভূমিষ্ঠ শিশুর মা-বাবা কিংবাঅভিভাবকরা। চিনের কমিউনিস্ট সরকারের দাবি দেশে বেড়ে চলা 'মুসলিম উগ্রপন্থা'কে রুখতেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সমাজকর্মীরা বলছেন, চিনের কমিউনিস্ট প্রশাসন এই ফতোয়া জারি করে নাগরিকের মৌলিক অধিকারেই হস্তক্ষেপ করছে। চিনের মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ, "এই নীতি ভীষণ ভয়ংকর এবং স্পষ্টভাবে এটা 'ধর্মীয় বিশ্বাস এবং মতপ্রকাশের আন্তর্জাতিক অধিকার'কে উল্লঙ্ঘন করছে"। চিনের মানবাধিকার কমিশনের ডিরেক্টর সোফি রিচার্ডসনের মত, "উগ্রপন্থার নামে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে খর্ব করার চেষ্টা করা হচ্ছে"। চিনের 'নাম ফতোয়া'র নীতিকে কার্যত কটাক্ষ করেই রিচার্ডসন আরও বলেন, এটি একটি "অবাস্তব নিষেধাজ্ঞা"।
'ইমাম', 'হাজি', 'ইসলাম', 'কুরান', 'সাদ্দাম', 'মেদিনা' ইত্যাদি নাম যেখানে প্রচণ্ডভাবে ধর্মীয় (ইসলামিক) 'স্বাদ' রয়েছে, এই ধরণের নামেই মূলত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চিন। উল্লেখ্য, একমাস আগেই জিনজিয়াংয়ে পুরুষদের দাড়ি রাখায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিউনিস্ট প্রশাসন। শুধু পুরুষই নয়, মহিলাদের ওপরও জারি হয়েছিল 'পোশাক ফতোয়া'। নিষেধাজ্ঞা জারি করে চিনের কমিউনিস্ট প্রশাসন এও জানিয়ে দিয়েছে জনসমক্ষে কোথাও মুসলিম মহিলারা বোরখা পরতে পারবেন না। এখানেই শেষ নয়। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির 'একনায়ক' প্রবণতারও শিকার হয়েছে এখানকার মানুষ। সরকারি টেলিভিশন না দেখা এবং রেডিও অনুষ্ঠান না শোনার কারণে চিনের কমিউনিস্ট প্রশাসনের কোপেও পড়েছে জিনজিয়াং প্রদেশের মানুষ।