Covid আবহে সব বন্ধ অথচ পরীক্ষা চলছে! উপাচার্যের দ্বারস্থ মেডিক্যালের পড়ুয়ারা

তাঁদের অভিযোগ, ইতিমধ্যেই হোস্টেল খালি করে দেওয়ার নির্দেশ এসেছে কলেজগুলির তরফে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি পরীক্ষার জন্য অনুকূল নয়। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিতে এসে কার্যত একাধিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাইরের ছাত্র-ছাত্রীদের। 

Updated By: Apr 16, 2021, 08:16 PM IST
Covid আবহে সব বন্ধ অথচ পরীক্ষা চলছে! উপাচার্যের দ্বারস্থ মেডিক্যালের পড়ুয়ারা
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: কোভিড আবহে পিছিয়ে দেওয়া হোক পরীক্ষা। এমনই একাধিক আর্জি নিয়ে WBUHS-এর দ্বারস্থ UG মেডিক্যালের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা। উল্লেখ্য, জেলার কলেজগুলোতে গত ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে পরীক্ষা, চলবে আগামী ২৭ মে পর্যন্ত। এদিকে করোনার বাড়বাড়ন্তে পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছে। যা নিয়ে কার্যত চিন্তায় পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, অফলাইনে পরীক্ষা দিতে কলেজে আসতে হচ্ছে সকলেই। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। গণপরিবহনে যাতায়াতে পরিবারের লোকজনের মধ্যেও তা ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে।

তাঁদের অভিযোগ, ইতিমধ্যেই হোস্টেল খালি করে দেওয়ার নির্দেশ এসেছে কলেজগুলির তরফে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি পরীক্ষার জন্য অনুকূল নয়। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিতে এসে কার্যত একাধিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাইরের ছাত্র-ছাত্রীদের। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। 

আরও পড়ুন:  স্থগিত ICSE দশম ও ISC দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা, নতুন রুটিন ঘোষণা জুনে

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরজি করের দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়ার কথায়, 'সমস্ত হাসপাতালগুলোতে কোভিড রোগীর আনাগোনা বেড়েছে। একাধিক পড়ুয়া ইতিমধ্যেই আক্রান্ত। নোটিস দিয়ে সমস্ত শিক্ষামূলক কাজকর্ম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী জাতীয়স্তরে পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেও এখানে পরীক্ষাসূচির কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে এই দিকগুলি বিবেচনা করে পড়ুয়াদের স্বার্থে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিক WBUHS.'

শুক্রবার আরজি কর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস-সহ বেশ কিছু মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা উপাচার্যের কাছে পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানান। পড়ুয়া সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, দায় এড়িয়ে কলেজের দিকেই বল ঠেলেছেন উপাচার্য।  WBUHS তরফে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কলেজের অনুমোদন মিললে তবেই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, একাধিকবার কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। এ দিকে সময়ও পেরিয়ে যাচ্ছে। আপাতত সংক্রমণ এড়াতে কর্তৃপক্ষের থেকে দ্রুত সমাধান সূত্র চাইছেন পরীক্ষার্থীরা। 

.