Lynching | Jhargram: চোর সন্দেহে গণপিটুনি এবার ঝাড়গ্রামে, মৃত্যু যুবকের, আশঙ্কাজনক সঙ্গী বন্ধু

Lynching | Jhargram: মারধরের খবর পেয়ে পুলিস তাদের উদ্ধার করে তাদের চিলকিগড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের স্থানান্তর করা হয় ঝাড়াগ্রাম মহকুমা হাসপাতালে

Updated By: Jun 30, 2024, 10:08 PM IST
Lynching | Jhargram: চোর সন্দেহে গণপিটুনি এবার ঝাড়গ্রামে, মৃত্যু যুবকের, আশঙ্কাজনক সঙ্গী বন্ধু

সৌরভ চৌধুরী: চোর সন্দেহে গণপিটুনি। আর তার জেরেই মৃত্যু। বউবাজার, সল্টলেকের পর এবার এবার ঝাড়গ্রাম। ঝাড়গ্রামের বেনাগড়িয়ার বাসিন্দা সৌরভ সাউকে গত ২২ জুন গণপিটুনি দেওয়া হয়। আজ ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে তার মৃত্যু হয়েছে। কারা মেরেছে তা এখনও খুঁজে বের করতে পারেনি পুলিস।

আরও পড়ুন-চোপড়ায় যুগলকে সালিশিসভায় বেধড়ক মারধর, অবশেষে আটক মূল অভিযুক্ত বাহুবলী জেসিবি

গত ২২ জুন সৌরভ সাউ নামে এক যুবক ও তার বন্ধু অক্ষয় মাহাত একটি স্কুটি নিয়ে ঘুরতে যাব বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। বাড়ি থেকে জামবনির দিকে তারা রওনা হয়। পথে খাটকুরা বলে একটি জায়গায় ওই গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। ওই জায়গায় একটি নির্মান সংস্থা কাজ করছিল। সেখানে কিছু যন্ত্রাংশ পড়েছিল। হঠাত্ করেই সেখানকার গ্রামবাসীরা তাদের ঘিরে ধরে। তারপর ওই দুজনের বিরুদ্ধে যন্ত্রাংশ ও স্কুটি চুরি করেছে বলে অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করে। তাদের বেঝধড়ক মারধর করা হয়।

মারধরের খবর পেয়ে পুলিস তাদের উদ্ধার করে তাদের চিলকিগড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের স্থানান্তর করা হয় ঝাড়াগ্রাম মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু মারধর এতটাই গুরুতর ছিল যে সৌরভের শরীরের ভেতরের অংশে প্রবল চোট লাগে। সেই আঘাত থেকে আর সেরে উঠতে পারেনি সৌরভ। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে আজ তার মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনার পরপরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। মৃতের মা জামবনি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনওপর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। কোন কন্ট্রাক্ট্রেরের কাজ ওই জায়গায়  হচ্ছিল, কাদের জিনিসপত্র পড়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ঘটনায় আহত অক্ষয় মাহাত বর্তমানে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি। তার অবস্থায় বেশ জটিল বলেই জানা যাচ্ছে।  

যে জায়াগায় গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে সেটি একটি ফাঁকা জায়গা। একটি জঙ্গল পেরিয়ে ওই জায়গায় পৌঁছাতে হয়। ঘটনা ঘটে দুপুরবেলা। ফলে সেইসময়ে এলাকায় লোক কম ছিল। তাই কারা ঘটনার সময়ে উপস্থিতি ছিল তা নিশ্চিতভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। পুলিস যখন ওই দুজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তখন পুলিসকে বলা হয় তারা যন্ত্রাংশ চুরি করেছে। ফলে সেইসময় পুলিসের অন্যরকম একটা ধারনা হয়। তার মা যখন এনিয়ে বয়ান দেন যে স্কুটি তাদেরই তখন ঘটনা অন্য দিকে ঘুরে যায়। মূল যে বিষয়টি দেখা হচ্ছে সেটি হল কোন ঠিকাদার ওই এলাকায় কাজ করছিল। সম্ভবত তাদের লোকজনবই ওই দুজনকে মেরেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এনিয়ে তদন্ত করছে পুলিস।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.