ফের কেন্দ্রকে তোপ মোদির

এক বছর আগে থেকেই বিধানসভা ভোটের ওয়ার্ম আপ শুরু করে দিলেন নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদি। রবিবার আমদাবাদের অনতিদূরে ভস্ত্রালের জনসভা থেকে সরাসরি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে গুজরাতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনলেন তিনি।

Updated By: Sep 27, 2011, 07:46 PM IST

এক বছর আগে থেকেই বিধানসভা ভোটের ওয়ার্ম আপ শুরু করে দিলেন নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদি। রবিবার আমদাবাদের অনতিদূরে
ভস্ত্রালের জনসভা থেকে সরাসরি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে গুজরাতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনলেন তিনি।
সাম্প্রতিক কালে বেশ কয়েকটি ঘটনায় মোদি-কেন্দ্র সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিরুদ্ধে সরাসরি সঞ্জীব ভাট, রাহুল শর্মার মতো বিদ্রোহী আইপিএস
অফিসারদের মদত দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল ড. কমলা বেনীওয়াল রাজ্য সরকারের পরামর্শ ছাড়াই আরকে মেহতাকে লোকায়ুক্ত পদে
নিয়োগ করায় আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছে তাঁর সরকার। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট ২০০২ সালের গোধরা পরবর্তী দাঙ্গার মামলা নিম্ন আদালতে ফেরত পাঠানোর পর নতুন
করে রাজনৈতিক সক্রিয়তা শুরু করেছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের পরই জাতীয় রাজনীতির মঞ্চে প্রত্যাবর্তন করবেন মোদি।
২০১৪-র লোকসভা ভোটকেই পাখির চোখ করেছেন তিনি।
আর এই উদ্দেশ্যই গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিজের ৬২ তম জন্মদিনে সদ্ভাবনা অনশনে বসে নিজের ‌`ইমেজ মেকওভারের` কাজ শুরু করেন হিন্দুত্বের পোস্টারবয়। গোধরা
পরবর্তী দাঙ্গার জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা না চাইলেও এই অনশন কর্মসূচিতে মুসসিম সমাজের অনেক প্রতিনিধিকেই হাজির করিয়েছিলেন ছোটে সর্দার।
এদিনের জনসভাতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মহারালির মঞ্চ থেকে মোদির ঘোষণা, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আপামর গুজরাতবাসীর উন্নয়নে সচেষ্ট তাঁর সরকার। সেই
সঙ্গেই তাঁর অভিযোগ, সাংবিধানিক রীতিনীতির তোয়াক্কা না করে গুজরাত সরকারের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে কেন্দ্র। তাঁর সরকারের স্থায়িত্ব নষ্ট করার উদ্দেশ্যে
রাজ্যপালের পদকে ব্যবহার করে ক্ষমতার সমান্তরাল কেন্দ্র গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। বিগত দুদশক ধরে গুজরাতে বিভিন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসের ধারাবাহিক পরাজয়কে
কটাক্ষ করে মোদির অঙ্গীকার, দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো ও সাংবিধানিক মর্যাদা রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি।
তাত্‍পর্যপূর্ণ ভাবে মোদির সভায় অনুপস্থিত ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি। ১৯৯০ সালের এই ২৫ সেপ্টেম্বরের দিনটিতেই সোমনাথ মন্দির থেকে রাম রথের সওয়ার হয়েছিলেন
বিজেপি` লৌহপুরুষ। তার পর থেকে ফি বছর ২৫ সেপ্টেম্বর নিয়ম করে সোমনাথ দর্শনে যেতেন তিনি। কিন্তু এবার সেই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটল। প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবি ঘিরে
গেরুয়া শিবিরে বিতর্কের চোরাস্রোতের মাঝে মোদির সভায় গান্ধিনগরের অশীতিপর বিজেপি সাংসদের অনুপস্থিতি যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করা হচ্ছে।

.