মাও হামলায় বিধায়ক হত ওড়িশায়

প্রকাশ্য জনসভায় বিধায়ককে খুন করে ক্ষমতা জাহির করল মাওবাদীরা। শনিবার দুপুরে ওড়িশার নওরংপুর জেলার গোনা গ্রামে সন্দেহভাজনসিপিআই (মাওবাদী) জঙ্গিদের হামলায় নিহত হয়েছেন শাসক বিজু জনতা দল (বিজেডি)-এর বিধায়ক জগবন্ধু মাঝি এবং তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা আধিকারিক।

Updated By: Sep 27, 2011, 07:22 PM IST

প্রকাশ্য জনসভায় বিধায়ককে খুন করে ক্ষমতা জাহির করল মাওবাদীরা।
শনিবার দুপুরে ওড়িশার নওরংপুর জেলার গোনা গ্রামে সন্দেহভাজনসিপিআই (মাওবাদী) জঙ্গিদের হামলায় নিহত হয়েছেন শাসক বিজু জনতা দল (বিজেডি)-এর বিধায়ক
জগবন্ধু মাঝি এবং তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা আধিকারিক।
উমেরকোট বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ওড়িশা বিধানসভায় নির্বাচিত ৩৯ বছরের জগবন্ধু মাঝি মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের দলের প্রথম সারির আদিবাসী ‌`মুখ` হিসেবে পরিচিত
ছিলেন। ওড়িশা পুলিশের মহানির্দেশক মনমোহন প্রহরাজ জানিয়েছেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভূমিহীন গ্রামবাসীদের মধ্যে জমির পাট্টা বিলির সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ
দিতে রায়গড় শহরের ১২ কিলোমিটার দূরের গোনা গ্রামে গিয়েছিলেন তিনি। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ অনুষ্ঠান চলাকালীন হঠাত্‍ মোটর সাইকেলে চড়ে এসে হামলা
চালায় সন্দেহভাজন মাওবাদী জঙ্গিরা। স্বয়ংক্রিয় রাইফেলেই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় বিজেডি বিধায়ক ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা আধিকারিক পিঙ্কু পাত্রর দেহ। এর আগেও
দু`বার দুষ্কৃতি হামলার শিকার হয়েছিলেন জগবন্ধু মাঝি। ২০০১ সালে মেরুদণ্ডে গুলি লাগায় শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন তিনি। সেই থেকে হুইল চেয়ারই ছিল
তাঁর সঙ্গী।
ঘটনার খবর পেয়েই অকুস্থলে ছুটে যান জেলার পুলিস সুপার নীতি শেখর। ছত্তিশগড় সীমানা লাগোয়া নওরংপুর জেলা ওড়িশার অন্যতম মাওবাদী উপদ্রুত অঞ্চল হিসেবে
পরিচিত। সংগত কারণেই এই পরিস্থিতিতে পুলিশি গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের অগস্ট মাসে ওডি়শার কন্ধমাল জেলার
জলেসপেটার কন্ব্যাশ্রমে হানা দিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অন্যতম শীর্ষ-সন্তলক্ষ্মণানন্দ সরস্বতীকে হত্যা করেছিল মাওবাদীরা এর পরই রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে
সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ শুরু হয়। তার আগে ২০০৭ সালে ঝাড়খণ্ডে দুটি পৃথম ঘটনারমাওবাদী নাশকতার শিকার হন জামশেদপুরের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-র
সাংসদ সুনীল মাহাতো এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডির পুত্র অনুপ মারান্ডি। দুটি ক্ষেত্রেই ভিড়ে ভরা অনুষ্ঠানকে হামলার ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছিল মাওবাদীরা।

.