Sujan Chakraborty: 'কোন ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন'? সিপিএম নেতার স্ত্রীর চাকরি নিয়ে প্রশ্ন মন্ত্রীর
এর আগে, প্রকাশ্যে মঞ্চ থেকে একাধিকবার সিপিএমে আমলে চিরকুটে চাকরির অভিযোগ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, ১৯৯৮ সাল থেকে পরিবর্তনের আগে পর্যন্ত দফতরে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় ফাইল খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রীকে।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: 'নিয়োগ দুর্নীতির ফাঁস'! সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। স্রেফ বিবৃতি দাবি নয়, তদন্তেরও আর্জি জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। 'বার করুক না', পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন প্রাক্তন বাম বিধায়ক।
এদিন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, 'সুজনবাবুর স্ত্রী ১৯৮৭ সালে পয়লা অগস্ট জয়েন্ট করেছিলেন ল্য়াবরেটরি অ্য়াসিস্ট্যান্ড হিসেবে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুড কলেজে। তিনি কোন ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন? তিনি কোন পরীক্ষা দিয়েছিলেন? এটা যদি জনসমক্ষে সুজন বাবু জানান, তাহলে আমি খুব উপকৃত হব'। তাঁর আরও বক্তব্য, 'ব্রাত্য বসুর কাছে অনুরোধ জানাব, তিনি যদি দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে ১৯৮৭ সালের পয়লা অগস্ট সুজনবাবুর স্ত্রী যে চাকরিটা পেয়েছিলেন, সেটা নিয়ে যদি তদন্ত করেন, আমি বাধিত হব'।
তৃণমূলের তরফে টুইট করা হয়েছে, 'প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী কোনও পরীক্ষায় পাস করেননি। কিন্ত ৩৪ বছর চাকরি করেছেন দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে। যখন অবসর নেন, তখন বেসিক পে ছিল ৫৫ হাজার টাকা। এখন রাজ্য সরকারের পেনশনও নেন তিনি'।
JOB SCAM exposed!
Mili Chakraborty, wife of former CPI(M) MLA @Sujan_Speak, never cleared any exam but:
Worked at Dinabandhu Andrews College for 34yrs
Retired in 2021 with basic pay of ₹55,000 & enjoys pensionStories of @CPIM_WESTBENGAL's gross misuse of power never end! pic.twitter.com/4MqkYmznkW
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) March 23, 2023
এদিকে চুপ করে থাকেননি সুজন চক্রবর্তীও। তাঁর চ্য়ালেঞ্জ, 'আমার কোনও অসুবিধা নেই। ১৯৯০ থেকে ২০১১ পর্যন্ত যখন তালিকা বের করবেন, সেই তালিকায় সব থাকবে তো। বার করুন না। তারপর খেলা দেখিয়ে দেব'।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: 'অনেকে সুপারিশ করেছে! বলেছি, করতে পারব না, আমি নিয়োগকর্তা নই', পার্থ চট্টোপাধ্যায়
এর আগে, প্রকাশ্যে মঞ্চ থেকে একাধিকবার সিপিএমে আমলে চিরকুটে চাকরির অভিযোগ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি কালীঘাটে নিজের বাড়িতে সাংসদ, বিধায়ক ও দলের নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেও বাম আমলে চিরকুটে চাকরি প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ১৯৯৮ সাল থেকে পরিবর্তনের আগে পর্যন্ত দফতরে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় ফাইল খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রীকে।