কেতুগ্রামে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুন তৃণমূল কর্মী
কেতুগ্রামে প্রকাশ্যে চলে এলো তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কোমরপুর হাটতলায় গুলি করে খুন করা হল তৃণমূল কর্মী আপেল শেখকে। অভিযোগের তির তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জাহির শেখের দিকে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জাহির শেখ। তাঁর পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলকর্মী সাউদ মিঞার বিরুদ্ধে।
ওয়েব ডেস্ক: কেতুগ্রামে প্রকাশ্যে চলে এলো তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কোমরপুর হাটতলায় গুলি করে খুন করা হল তৃণমূল কর্মী আপেল শেখকে। অভিযোগের তির তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জাহির শেখের দিকে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জাহির শেখ। তাঁর পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলকর্মী সাউদ মিঞার বিরুদ্ধে।
সাব মার্সিবেল পাম্পের ঘরে বুধবার সকালে আপেল শেখকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। লুটিয়ে পড়েন আপেল। কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকেরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা একটি গাড়িতে করে এসেছিল।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জাহির শেখ। তাঁর দাবি, ৩০ লক্ষ টাকার টেন্ডার নিয়ে সাউদ মিঞাই খুন করেছে আপেলকে।
এলাকায় দুষ্কৃতী হিসেবেই পরিচিত ছিল তৃণমূল কর্মী আপেল শেখ। সাউদ মিঞার সঙ্গে এক সময় তাঁর গণ্ডগোল হয়। তারপরই গ্রাম ছাড়েন সাউদ। অবশ্য কয়েক মাস আগে আপেলের সঙ্গে সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে ফেলেন সাউদ। তৃণমূলের অন্তর্কলহের জেরেই খুন হয়েছেন আপেল, দাবি বিরোধীদের। ঘটনার পর এলাকায় বোমাবাজি শুরু হয়ে যায়। পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও গ্রামে চাপা উত্তেজনা রয়েছে।