সোমবার পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি কমিশনের
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফার নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে আগামী সোমবার। দ্বিতীয় দফার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হচ্ছে ৩১ মে। তৃতীয় দফার জন্য তেসরা জুন বিজ্ঞপ্তি জারি করবে কমিশন। প্রথম দফার মনোনয়নপত্র তোলা এবং জমা দেওয়া যাবে ২৯ মে থেকে পাঁচই জুন পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুরু হবে তেসরা জুন থেকে। চলবে ১০ জুন পর্যন্ত।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফার নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে আগামী সোমবার। দ্বিতীয় দফার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হচ্ছে ৩১ মে। তৃতীয় দফার জন্য তেসরা জুন বিজ্ঞপ্তি জারি করবে কমিশন। প্রথম দফার মনোনয়নপত্র তোলা এবং জমা দেওয়া যাবে ২৯ মে থেকে পাঁচই জুন পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুরু হবে তেসরা জুন থেকে। চলবে ১০ জুন পর্যন্ত।
তৃতীয় দফার জন্য মনোনয়নপত্র তোলা এবং জমা দেওয়া যাবে ৫ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র পরীক্ষার জন্য প্রথম দফার ক্ষেত্রে সাতই জুন , দ্বিতীয় দফার ক্ষেত্রে ১২ জুন, এবং তৃতীয় দফার ক্ষেত্রে ১৪ জুন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রথম দফার ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১০ জুন, দ্বিতীয় দফা ১৫ জুন এবং তৃতীয় দফার ক্ষেত্রে ১৭ জুন।
এদিকে, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের লক্ষ্যে এবার পর্যবেক্ষকদের তিনটির জায়গায় চারটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সিদ্ধান্ত থেকেই স্পষ্ট, নির্বাচনের প্রতিটি মুহূর্তের সব তথ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে চাইছে তারা।
রাজ্যের ৩২৯টি ব্লকে এবছরের পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে। আগামি শনিবারই প্রথম দফার নটি জেলার জন্য মোট ২১০ জন পর্যবেক্ষককে নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে কমিশন। সেই বৈঠকেই পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনটির পরিবর্তে চারটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হবে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত পর্যবেক্ষককরা তিনটি করে রিপোর্ট জমা দিয়ে এসেছেন।
প্রথম রিপোর্ট জমা দিতে হত মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া পর
দ্বিতীয় রিপোর্ট জমা দিতে হত ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর
তৃতীয় রিপোর্ট জমা দিতে হত ফলপ্রকাশের পর
এবছর আরও একটি অতিরিক্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে পর্যবেক্ষকদের। কী থাকবে সেই রিপোর্টে?
১) নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙা নিয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়ছে কিনা
২) জমা পড়ে থাকলে সেবিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
৩) নির্দিষ্ট সংখ্যায় বাহিনী জেলায় পৌঁছেছে কিনা?
৪) অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছেছে কিনা?
অর্থাত্ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে বিশেষ নজর দিতে চাইছে কমিশন। পাশপাশি, নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার প্রবণতা আটকাতেও কমিশন মরিয়া। কোনও এলাকায় পর্যবেক্ষক সঠিক ব্যবস্থা না নিলে, কমিশন সরাসরি হস্তক্ষেপ করার কথাও ভাবনাচিন্তা করছে। যদি দেখা যায় কোনও ব্লকে বা জেলায় কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দল যদি প্রতিনিধি দিতে না পারে তবে, সেই বিষয়ে তদন্ত করার কথাও ভাবছে কমিশন। কমিশনের বক্তব্য, দু হাজার আটেও, এরকম ক্ষেত্রে তদন্তের নজির রয়েছে। সেই দৃষ্টান্তকে সামনে রেখে এবারের নির্বাচনকেও সুষ্ঠু ও অবাধ করতে চাইছে কমিশন।