এক ঘর, তিন ক্লাস
একই ঘরে চলছে তিনটি ক্লাস।একই ক্লাসরুমে চলছে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পঠনপাঠন। নতুন কোনও পদ্ধতি নয়। শিক্ষিকার অভাবে এভাবেই চলছে ঝাড়গ্রামের তপসিয়া গার্লস হাইস্কুল।
একই ঘরে চলছে তিনটি ক্লাস।একই ক্লাসরুমে চলছে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পঠনপাঠন। নতুন কোনও পদ্ধতি নয়। শিক্ষিকার অভাবে এভাবেই চলছে ঝাড়গ্রামের তপসিয়া গার্লস হাইস্কুল।
রাজ্যে পালাবদলের পর জঙ্গলমহলের উন্নয়নের জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে তালিকায় উপরের দিকে ছিল শিক্ষার মানোন্নয়ন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তব রূপ দিতে দু বছরের মধ্যে জঙ্গলমহলের একাধিক মাধ্যমিক স্কুলকে উচ্চমাধ্যমিক ও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলকে মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করা হয়। কিন্তু, কতটা উন্নতি হয়েছে শিক্ষাব্যবস্থার? স্কুল চালু করার তাড়াহুড়োয় নজর দেওয়া হয়নি পরিকাঠামোয়।
জ্বলন্ত উদাহরণ ঝাড়গ্রামের তপসিয়া গার্লস হাইস্কুল। তিনশো পঁচানব্বই জন ছাত্রীর জন্য এই স্কুলে বরাদ্দ মাত্র তিনজন শিক্ষিকা। একই ক্লাসরুমে চলছে তিনটি শ্রেণির পঠনপাঠন।
চারটি ক্লাসের ছাত্রীদের পড়াতে গিয়ে হিসসিম দশা শিক্ষিকাদের। এভাবে পঠনপাঠন চলায় ছাত্রীদেরই যে সবথেকে বেশি ক্ষতি হচ্ছে, তা একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন তাঁরা।
সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা।