রাতভর বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি উত্তরবঙ্গে
রাতভর এক টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। মহানন্দার ৩০০ মিটার নদী বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায়। চম্পাখালি এলাকার অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। প্রায় দেড় হাজার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রাতভর এক টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। মহানন্দার ৩০০ মিটার নদী বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায়। চম্পাখালি এলাকার অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। প্রায় দেড় হাজার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনীকে নামানো হতে পারে। সকালেই ঘটনাস্থলে আসেন সেনা আধিকারিকরা। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বাঁধ মেরামতির নির্দেশ দিয়েছে সেচ দফতর। নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হল শিলিগুড়ি সংলগ্ন এলাকায়।
বুধবার রাত থেকে একটানা বৃষ্টি বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। মিলন মোড়ের কাছে মহানন্দার তিনশো মিটার নদী বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে শুরু করে। নতুন করে প্লাবিত হয় ফুলবাড়ির বিভিন্ন এলাকা। চম্পাহাটি এলাকা থেকে প্রায় দেড়হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হলেও বুহু মানুষ এখনও জলবন্দি হয়ে রয়েছেন। মহানন্দা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় প্রায় দশটি গ্রাম জলবন্দি হয়ে পড়েছে। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে পুলিসকর্মীদেরও নিয়ে আসা হয়েছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বাঁধ মেরামতির নির্দেশ দিয়েছে সেচ দফতর। তবে বৃষ্টির মধ্যে মেরামতির কাজ ব্যাহত হয়। এদিকে একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে জলপাইগুড়িরও বিস্তীর্ণ এলাকা। বানারহাট, বিন্নাগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় জল জমেছে। রেতি সুকৃতি নদীর জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে হাতিনালা ও মরাঘাট এলাকা। তিস্তা নদী সংলগ্ন পদ্মমতির চরে জলবন্দীদের উদ্ধারে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে নামানো হয়েছে।
বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিলি ও উদ্ধার কাজে জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।