গুড়িয়া কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার
পুলিসের জালে ধরা পড়ল গুড়িয়া মৃত্যুকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শ্যামল ঘোষ। বুধবার রাতে খেজুরদহের ভবানীপুর গ্রামে নিজের বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। পোশাক ও টাকা নিয়ে বরাবরের মতো পালানোর পরিকল্পনা ছিল শ্যামলের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ফাঁদ পাতে গুড়াপ থানা এবং সিআইডির গোয়েন্দারা।
পুলিসের জালে ধরা পড়ল গুড়িয়া মৃত্যুকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শ্যামল ঘোষ। বুধবার রাতে খেজুরদহের ভবানীপুর গ্রামে নিজের বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। পোশাক ও টাকা নিয়ে বরাবরের মতো পালানোর পরিকল্পনা ছিল শ্যামলের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ফাঁদ পাতে গুড়াপ থানা এবং সিআইডির গোয়েন্দারা। আচমকাই বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে ধরে পুলিস। আজ শ্যামলকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হবে।
গত ১১ জুলাই `চব্বিশ ঘণ্টা` হুগলির ধনেখালির খেজুরদহ গ্রামের দুলাল স্মৃতি সংসদ হোমের বাসিন্দা গুড়িয়ার মৃত্যু রহস্য ফাঁস করার পর থেকেই ফেরার ছিল শ্যামল। সকালবেলা বাড়ি থেকে হাটে সবজি বিক্রি করতে গিয়েছিল সে। তারপর থেকেই গা ঢাকা দেয় শ্যামল। বন্ধ করে দেয় নিজের মোবাইল ফোন। এতদিন ধরে বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে শ্যামল গা ঢাকা দিয়েছিল বলে পুলিস সূত্রে খবর। রাতভর গুড়াপ থানাতে তাকে জেরা করা হয়। হোমের সেক্রেটারি উদয়চাঁদ কুমার, অ্যাম্বুলেন্স চালক সোমনাথ রায়, কলমিস্ত্রি সন্দীপ দাস এবং স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জিতের মতো শ্যামলকেও নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় সিআইডি। শ্যামলের বিরুদ্ধে গুড়িয়াকে হত্যা এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গুড়িয়ার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেতে চলেছে সিআইডি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। গুড়িয়ার মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। শরীরেও রয়েছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। এই আঘাতের চিহ্ন থেকেই অনুমান, গুড়িয়াকে নিগ্রহ করা হয়েছিল। তবে গুড়িয়ার শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে নিশ্চয়তা মেলেনি। কারণ, দেহে বেশিমাত্রায় পচন ধরে যাওয়ায় শ্লীলতাহানি হয়েছিল কিনা, তা বোঝা যায়নি। তবে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এখনই উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস। ফরেনসিক পরীক্ষার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা।