আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাড়িতে ময়ূর পুষেছেন বাঁকুড়ার বিধায়ক
বেআইনি। তাতে কী! বাড়িতে দু-দুটো ময়ূর পুষেছেন বাঁকুড়ার বড়জোড়ার বিধায়ক আশুতোষ মুখার্জি। শাসক দলের বিধায়ক বলে কথা। তাই সব কিছু জেনেও জেলার বনকর্তারা স্পিকটি নট। বনমন্ত্রী শুধু খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। অথচ আইন বলছে, অনুমতি ছাড়া ময়ূর পুষলে জেল অনিবার্য। হতে পারে জরিমানাও।
বিধায়কের ময়ূর পোষার শখ। তাও আবার শাসকদলের বিধায়ক। তড়িঘড়ি বড়জোড়ার খাড়াড়ি গ্রামে তৃণমূল বিধায়ক আশুতোষ মুখার্জির জন্য পৌছে যায় তিন-তিনটি ময়ূর। খাঁচাবন্দি ময়ূর শোভা বাড়িয়েছে বিধায়কের বাড়ির। শখও পূরণ হয়েছে। তবে এরই মধ্যে একটি ময়ূরকে খেয়ে ফেলে কুকুর । তবে এমন খবর মানতে নারাজ বিধায়ক। তাঁর দাবি, অসুস্থ ময়ূরের চিকিত্সা চলছিল। সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে দলের বিধায়কের এই কীর্তির কথা জানতে পেরে রীতিমতো অস্বস্তিতে বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ। তাঁর আশ্বাস, বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী, ময়ূর সিডিউল ওয়ান শ্রেণিভুক্ত পাখি। সিডিউল ওয়ানে শ্রেণিভুক্ত কোনও বন্যপ্রাণী, পাখি, সরীসৃপকে অনুমতি ছাড়া পুষলে তা জামিন অযোগ্য অপরাধ। দোষ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেল। দশ হাজার টাকা জরিমানা। সেখানে শুধুই খতিয়ে দেখার আশ্বাস কেন? প্রশ্ন উঠছে, শাসক দলের বিধায়ক বলেই কি, বন্যপ্রাণ আইনভাঙার পরও, ছাড় পেয়ে যাবেন তিনি?