Thailand Mass Shooting: থাইল্যান্ডের চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে গুলি, বান্ধবীর সঙ্গে ঝগড়াতেই মারাত্মক কাণ্ড হামলাকারীর!
ঘটনার দিন যে সময়ে পানায়া চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে যায় সেই সময় সেন্টারের শিক্ষকরা শিশুদের খাইয়ে ঘুমতে যেতে বলে। ফলে অনেকেই ঘুমিয়েই পড়েছিল। সেন্টারে ঢুকেই সে একের পর এক জনের উপরে হামলা চালাতে শুরু করে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: থাইল্যান্ডের চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে শিশু ও কর্মীদের উপরে নির্বিচার গুলি চালনায় চমকে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। ওই ঘটনায় মোট ৩৮ জনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ২২ জন শিশু। শুধু গুলিই নয়, শিশুদের মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ছুরি চালিয়ে তাদের গলাও কেটে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় পেছনে ছিল পানায়া কামরাব নামে এক প্রাক্তন পুলিস কর্মী। কেন সে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটাল তা তদন্ত করতে গিয়ে উঠে এসেছে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। তদন্তে উঠে এসেছে বান্ধবীর সঙ্গে ঝগড়ার পরিণতিতেই তারা মাথা বিগড়ে যায়। যে চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে ঢুকে পানায়া গুলি চালিয়েছিল সেখান তার ছেলেও যেত।
আরও পড়ুন-বিশ্ব র্যাংকিংয়ে আবারও শীর্ষে উঠে এল বেঙ্গালুরুর 'ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স'
উত্তরপূর্ব থাইল্যান্ডের নং বুয়া লাম্পুতে ওই চাইল্ড কেয়ার সেন্টার গুলি চালনার ঘটনার কিছুদিন আগে মাদকাসক্তির জন্য পানায়াকে পুলিসের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তার পর থেকেই অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে বলে জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। প্রায় রোজই নিজের নাইন এমএম পিস্তল থেকে বাড়ির আঙিনায় গুলি চালিয়ে টার্গেট প্রাকটিস করতো। পুলিস হওয়ায় তার নামে অভিযোগ করতে ভয় পাচ্ছিল প্রতিবেশীরা। চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে গুলি চালনার পরই ঘরে ফিরে সে তার বান্ধবী ও তার সন্তানকে মেরে আত্মঘাতী হয়। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পানায়ার ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকেই এক বান্ধবী ও সন্তানের সঙ্গে থাকতো পানায়া।
২০২০ সালে তার ডিভোর্সের পর ওই বান্ধবী ও তার সন্তানকে নিয়ে গ্রামে ফিরে আসে। গ্রামবাসীদের দাবি, পানায়ার আচরণ বেশ অস্বাভাবিক ছিল। ২০২০ সালে থাইল্যান্ডে গুলি চালিয়ে ২০ জনকে মেরে ফেলে এক সেনাকর্মী। সেই ঘটনা নিয়ে বারবার সে গ্রামের লোকের কাছে বলত, আমি সুযোগ পেলে আরও বেশি লোক মারব। নিজের বান্ধবী ও সন্তানকে সে ঘরে বন্ধ করে বাইরে যেত।
ঘটনার দিন যে সময়ে পানায়া চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে যায় সেই সময় সেন্টারের শিক্ষকরা শিশুদের খাইয়ে ঘুমতে যেতে বলে। ফলে অনেকেই ঘুমিয়েই পড়েছিল। সেন্টারে ঢুকেই সে একের পর এক জনের উপরে হামলা চালাতে শুরু করে। তার পর ভেতরে ঢুকে গুলি চালাতে থাকা। তাকে দেখে শিক্ষক ও কর্মীরা পালিয়ে যায়। ফলে ঘুমন্ত শিশুদের উপরে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে দেয়। টানা ২০ মিনিট ধরে একের পর এক ঘরে ঢুকে সে গুলি চালিয়ে যায়।