যীশুর মূর্তির ভিতর হদিশ মিলল মানুষের দাঁতের
তাজ্জব বনে গেল বিজ্ঞানীরা। তিনশো বছরের পুরানো যীশু মূর্তিকে এক্স-রে করে সত্যিকারের মানুষের দাঁতের হদিশ মিলল। মেক্সিকোর এক ছোট্ট শহরে ক্রুসবিদ্ধ যীশুর মূর্তির ভিতর এমন মানুষের দাঁত পেয়ে বিজ্ঞানীরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
মেক্সিকো: তাজ্জব বনে গেল বিজ্ঞানীরা। তিনশো বছরের পুরানো যীশু মূর্তিকে এক্সরে করে সত্যিকারের মানুষের দাঁতের হদিশ মিলল। মেক্সিকোর এক ছোট্ট শহরে ক্রুসবিদ্ধ যীশুর মূর্তির ভিতর এমন মানুষের দাঁত পেয়ে বিজ্ঞানীরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
মেক্সিকোর বিজ্ঞানী ফ্যানি ইউনিকেল স্যাঙ্কোনিচি জানান, কোনও ধর্মাপ্রাণ ব্যক্তি তাঁর নিজের দাঁত উত্সর্গ করতে পারে। কারণ এরআগেও অনেক মূর্তির জন্য মানুষের চুল, নোখ চার্চে দান করা হত। ফ্যানি আরও জানান, 'মানুষ খুবই ধর্মভীরু। মানুষ বিশ্বাস করে মৃত্যুর পরেও জীবনের অস্তিত্ব থাকে। আর এই কারণে মানুষের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ দান করে থাকেন চার্চে।' মেক্সিকোয় যীশু, পাদরি, মেরীর অনেক মূর্তি রয়েছে। সাধারণত এইসব মূর্তির দাঁত পশুর হাড় দিয়ে তৈরি হয়।
তবে এই দাঁত কোনও জীবিত অথবা মৃত মানুষের কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের মতে অষ্টাদশ শতাব্দীতে বিভিন্ন চার্চে মৃত্যুর আগে মানুষ শরীর দান করে যেতেন। অথবা ধর্মকে অবজ্ঞা করায় কোনও ব্যক্তির দাঁত খুলে লাগানো হয়েছে। সব অনুমানের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তবে উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ১৬৯৯ খ্রীষ্টাব্দে গুয়াদালাজারার যাজক তাঁর হৃদপিণ্ড দান করে যান যীশুখ্রীষ্টের মূর্তির জন্য।