India Bangladesh Meet: ভালো সম্পর্ক চাই বলেও ইউনূসকে হিন্দুদের নিরাপত্তার কথা মনে করাল ভারত
India Bangladesh Meet: পররাষ্ট্র সচিব মিশ্রি বলেন, জসীম উদ্দিনের আমন্ত্রণে আমি ঢাকায় এসেছি। অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মুহূর্তে আমি ঢাকায় এসেছি, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাইলেও সেখানকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। সোমবার বাংলাদেশের সঙ্গে বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর এমনটাই জানিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি।
আরও পড়ুন-দিল্লি থেকে ভিসা সেন্টার তুলে ঢাকায় আনুন, ইউরোপের দেশগুলির কাছে আজব আবদার ইউনূসের!
বাংলাদশের পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে মিশ্রি বলেন, অত্যন্ত খোলামেলা, গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। আমি জোর দিয়ে বলেছি যে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সম্পর্ক চায়। আমরা সব সময়-অতীতেও দেখেছি এবং আমরা ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ককে একটি জনকেন্দ্রিক ও জনমুখী সম্পর্ক হিসেবে দেখব। যে সম্পর্কের কেন্দ্রে থাকবে সব মানুষের কল্যাণ।
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক থেকে দেওয়া এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। তাদের ধর্মীয় স্থান ও সংস্কৃতির উপরে আঘাত হানার প্রতিবাদ করা হয়েছে ভারতের তরফে।
পররাষ্ট্র সচিব মিশ্রি বলেন, জসীম উদ্দিনের আমন্ত্রণে আমি ঢাকায় এসেছি। অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মুহূর্তে আমি ঢাকায় এসেছি, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এ বছর আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে আমাদের উভয় দেশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রথম কথা হয়েছে। তাদের মধ্যে টেলিফোন আলাপ হয়েছে। নিউইয়র্কে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। এই সফর তারই অংশ।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারতের আকাঙ্ক্ষা হল-অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে গভীরভাবে কাজ করা। একইসঙ্গে আমরা সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি আলোচনা করেছি। সংখ্যালঘু ইস্যুতে আমি আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। সংখ্যালঘুর বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিষয়টি দেখবে।
বিক্রম মিশ্রি আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দুই দেশের মধ্যে কিছু দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক বিষয়ে আক্রমণের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা সার্বিকভাবে উভয়পক্ষের মধ্যে গঠনমূলক মনোভাব চাই। আমরা অপেক্ষায় আছি, আমাদের সম্পর্ক একটা ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)