Malda Fraud: মুখ্যমন্ত্রীর দাদার পিএ সেজে প্রতারণা, চাকরি-রেশন ডিলারশিপের জন্য টাকা দিয়ে বিপাকে অনেকে
Malda Fraud: কাউকে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে, কাউকে রেশন ডিলারশিপ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে করা হত প্রতারণা
রণজয় সিংহ: মুখ্যমন্ত্রীর দাদার পরিচিত বলে প্রতারণা। মালদা ও মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকজন যুবক এই প্রতারণার ফাঁদে পড়েছে। অজিত বন্দোপাধ্যায়ের নাম করে তার ঘনিষ্ঠ বাস্তব মিত্রের বিরুদ্ধে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা প্রতারণার অভিযোগ। চাকুরি ও রেশন ডিলারশিপ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে করা হয়েছে ওইসব প্রতারণা।
আরও পড়ুন-মর্মান্তিক পরিণতি পাত্রের! বিয়ের কার্ড দিতে যাওয়ার পথেই সব শেষ! বন্ধ গাড়িতেই...
মালদার বৈষ্ণবনগর থান, মালদা থানা ও মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা থানায় এনিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মালদা পুলিশ সুপারের কাছেও মেল মারফত অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুরাতন মালদার বাসিন্দা সুশান্ত প্রসাদ একজন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে পুরাতন মালদার এক বাসিন্দা সাদা মানিক হক ওরফে সাজুর সাথে পরিচয় হয় তার। এই সাজুর মাধ্যমে অজিত বন্দোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বাস্তব মিত্রের সঙ্গে পরিচয় হয় সুশান্ত প্রসাদের। বাস্তব মিত্র চাকরি ও রেশন ডিলারশিপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বছর দেড়েক আগে মালদা ও মুর্শিদাবাদে ৮ জনের কাছ থেকে কয়েক দফায় প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। কিন্তু দেড় বছরেও কোন কাজ না হওয়ায় টাকা ফেরতের জন্য দাবি জানাতে থাকেন তারা। অজিত বন্দোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানানো হয় বলে দাবি করেন তারা। কিন্তু কোন সুরাহা না হওয়ায় অবশেষে মালদার বৈষ্ণবনগর, মালদা থানা ও মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিতরা।
প্রতারিত সুশান্ত প্রসাদ বলেন, বছর দেড়েক আগে তিনি ও তাঁর বন্ধু, নিজের স্ত্রীর চাকরি ও বন্ধুর রেশন ডিলারশিপের জন্য মোট ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা দেন। টাকা নেন মুখ্যমন্ত্রীর দাদা অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিএ বলে দাবি করা বাস্তব মিত্র। সেই কাজ এখনও হয়নি। টাকা ফেরত চাইলেও তিনি এখন আর ফোন ধরছেন না। এনিয়ে মালদহ থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিস কোনও পদক্ষেপ করছে না। গত শনিবার কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিলাম। তাঁকে সব বিষয়টি জানাই। তিনি ফোন করে অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানান। আমরা মতো অনেকের কাছ থেকেই এরকম টাকা তোলা হয়েছে। বাস্তব মিত্র ওই টাকা নিয়েছেন মালদহে থাকা তাঁর এক পিএর মাধ্যমে। তার নাম সাদামানিক হক ওরফে সাজু। তার মাধ্য়মে কালেকশন করা হয়েছে। আমার স্ত্রীর জন্য মালদায় এক কন্ট্রাকচুয়াল কাজ করে দেবে বলেছিল। বন্ধুকে রেশন ডিলারশিপের লাইসেন্স পাইয়ে দেবে বলেছিল। অনলাইনে ২ লাখ ৮৫ হাজার চাকা দিয়েছিলাম। সেটা ফেরত দিয়েছে। বাকী টাকা ফেরত দিচ্ছে না।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)