বেদান্ত-মেধাবীর দেখা হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল
অবশেষে বেদান্তের সঙ্গে বোন মেধাবীর দেখা হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল। বেদান্তকে আমেরিকা থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। চব্বিশ ঘণ্টাতেই প্রথম সম্প্রচার হয় বেদান্ত-মেধাবীর কাহিনী। চব্বিশ ঘন্টার খবরের জেরে প্রশস্ত হল দু`ভাই বোনের মিলনের পথ।
অবশেষে বেদান্তের সঙ্গে বোন মেধাবীর দেখা হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল। বেদান্তকে আমেরিকা থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। চব্বিশ ঘণ্টাতেই প্রথম সম্প্রচার হয় বেদান্ত-মেধাবীর কাহিনী। চব্বিশ ঘন্টার খবরের জেরে প্রশস্ত হল দু`ভাই বোনের মিলনের পথ।
বেদান্ত ও মেধাবী। দুই ভাইবোনের কাহিনী হার মানাবে যে কোনও উপন্যাসকে। পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার গুজরাতের মৌলিক মোদী কাজের সূত্রে থাকতেন আমেরিকার হাউস্টনে। উনিশশো নিরানব্বইয়ে তিনি বিয়ে করেন হায়দরাবাদের বাসিন্দা প্রবাসী নীতি আত্রেকে।সন্তান না হওয়ায় তাঁরা সাহায্য নেন ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতির। দুহাজার চারে সরোগেট মাদারের গর্ভে জন্ম নেয় বেদান্ত। বাবা-মায়ের সঙ্গেই সেও গ্রিন কার্ড পেয়ে যায়। এরপরই সংসারে অশান্তির শুরু। বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন নীতি আত্রে। দুহাজার নয়ে ফের ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতির সাহায্যে বাবা হন মৌলিক মোদী। ভারতেই জন্ম হয় মেধাবীর।
ইতিমধ্যেই, আদালতের নির্দেশে স্ত্রীর সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ ঘটে মৌলিক মোদীর। এখন তাঁর দুই সন্তানে একজন বেদান্ত থাকে আমেরিকায় আর অন্যজন মেধাবী রয়েছে এ দেশে। আমেরিকার অভিবাসন আইন অনুযায়ী মৌলিক মোদী মেধাবীকে নিয়ে আমেরিকা যেতে পারছেন না। একই আইন বলে বেদান্তেরও ভারতে আসার উপায় নেই। মৌলিক মোদী তার দুই সন্তানের বায়োলজিক্যাল ফাদার হলেও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী নীতি আত্রে কারোরই বায়োলজিক্যাল মাদার নন। ফলে, মার্কিন আইনের ফাঁসে দুই ভাইবোন বেদান্ত-মেধাবীর সামনা-সামনি দেখা হওয়ার জো নেই। এই অবস্থায় ছেলেকে ভারতে ফিরিয়ে আনতে আমেরিকার আইন-আদালতের দ্বারস্থ হন মৌলিক মোদী। কোনও লাভ না হওয়ায় কূটনৈতিক পথে বেদান্তকে ফিরে পেতে তিনি বিদেশমন্ত্রকের শরনাপন্ন হয়েছেন। গোটা ঘটনা জেনে নড়েচড়ে বসেছেন বিদেশমন্ত্রকের আধিকারিকরা। শুক্রবার তাঁরা আমেরিকার হাউস্টনের ভারতীয় দূতাবাসকে লিখিত নির্দেশ দিয়েছেন। বেদান্ত যাতে ভারতে তার বাবার কাছে ফিরতে পারে, বোন মেধাবীর সঙ্গে যাতে তার দেখা হতে কোনও বাধা না থাকে, সে জন্য ভারতীয় দূতাবাসকে উদ্যোগ নিতে বলেছে বিদেশমন্ত্রক। এখন অপেক্ষা, মার্কিন আইনের বেড়াজাল কাটিয়ে কবে ভারতে ফিরবে বেদান্ত।