জীবনদায়ী ওষুধের বদলে ভায়ালে অন্য ড্রাগ, নার্সের অবৈধ কাজে প্রাণ বিপন্ন শতাধিক রোগীর
জীবনদায়ী ওষুধ বদলে তার জায়গায় অন্য ড্রাগস দিয়ে বানান হল ড্রাগস ভায়াল। যদিও হাতে হাতকড়া পরতে অবশ্য বেশি দেরি হয়নি৷
নিজস্ব প্রতিবেদন: নার্সের কাজ হল রোগীকে শুশ্রূষা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। কিন্তু সেই সেবিকাই যদি হয়ে ওঠে ভিলেন তাহলে জীবন বিপন্ন তো হবেই। জীবনদায়ী ওষুধ বদলে তার জায়গায় অন্য ড্রাগস দিয়ে বানান হল ড্রাগস ভায়াল। যদিও হাতে হাতকড়া পরতে অবশ্য বেশি দেরি হয়নি৷ পুলিস অবিলম্বে গ্রেফতার করেছে ওই নার্সকে।
ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনিসির জনসন সিটি মেডিকেল সেন্টারে। তিন মাস আগে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি থেকে বের করে দেওয়া হয় এই নার্সকে। তার এক সহকর্মীই বলে দিয়েছিলেন যে চেনা পরিচিত ওষুধের রঙের থেকে ওই ভায়ালগুলি আলাদা। যা দেখে সন্দেহ হয় ওই মহিলার৷
এরপর জানা যায় হাসপাতালের স্টোরের বহু ইঞ্জেকশন লুকিয়ে খোলা হয়েছিল। বহু ইঞ্জেকশন ভায়াল একবার খুলে ফের তা আটকে দেওয়া হয়। অভিযোগ সেই সমস্ত ভায়ালে এক অজানা দ্রবণ মিশিয়েছিলেন নার্স৷ তবে শুধু জনসন সেন্টারেই নয়। এই একই কাজ আরেকটি হাসপাতালেও করেছিলেন তিনি। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালের স্টোরেজে গিয়ে ভায়াল খুলে সেখানে কিছু মিশিয়ে ফের তা আঠা দিয়ে লাগিয়ে দেওয়া হয়।
দুই হাসপাতালের তরফেই বলা হয়েছে, ভায়ালগুলি ছিল হাইড্রোমরফনের। যা আদতে পেইনকিলার বা ব্যথানাশক ইঞ্জেকশন। মনে করা হচ্ছে এই ভায়ালগুলিকে হেরোইন ড্রাগ দিয়ে নতুব করে বানান হয়েছে। যার নেপথ্যে রয়েছেন এই নার্স। যদিও পুলিসের কাছে কোনও পরীক্ষা করতে অস্বীকার করেছেন ওই নার্স। বর্তমানে জনসন সেন্টার হাসপাতালের শতাধিক রোগীর এইচআইভি এবং হেপাটাইটিস রোগের পরীক্ষা করানো হচ্ছে। তবে সেই সব ভুল ওষুধ আদৌ দেওয়া হয়েছে না ফেলে দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি৷
আরও পড়ুন, Russia-Ukraine War: কমলা হ্যারিস ও মার্ক জুকেরবার্গের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাল রাশিয়া