অষ্টমীর সন্ধ্যায় বজ্রবিদ্যুত্-সহ বৃষ্টির সম্ভবনা
নিজস্ব প্রতিবেদন: কেকের উপর চেরি ঠিক যেমন, পুজোর চারটে দিনের মধ্যে অষ্টমীও ঠিক তেমন। সেই ছোট্টবেলা থেকে প্রাপ্ত বয়স পর্যন্ত সবচেয়ে পছন্দের পোশাকটাই তোলা থাকে অষ্টমীর সন্ধ্যার জন্য। পুজোর সবকটা দিনই আনন্দের হলেও, অষ্টমীর 'ইজ্জত' তাই একেবারেই স্বতন্ত্র। আর সেই অষ্টমীতেই কিনা বৃষ্টির ভ্রুকুটি! আর শুধু ভ্রুকুটি হলেও না হয় হত, এ যে রক্তচক্ষুর আস্ফালন...মুষল ধারায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি।
সকাল থেকেই বিভিন্ন সময়ে আকাশের মুখ ভার। সংশয় তাই ছিলই। ঘড়ির কাঁটা বিকেল সাড়ে চারটে ছুঁতেই আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে শহরে নামল বৃষ্টি। প্রায় আধ ঘন্টা তুমুল বর্ষণের পর 'অনামুখো' বৃষ্টি থামল বটে, তবে রণে ভঙ্গ দিয়েছে একথা মোটেই বলা যাচ্ছে না। সৌজন্যে, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তাত্ক্ষণিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস। হাওয়া অফিসের কথা অনুযায়ী, ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে আবারও ভিজবে কল্লোলিনী। আর এবার একা বৃষ্টিতেই রক্ষে নেই বজ্র বিদ্যুত্ দোসর।
তবে, এতটুকু পড়েই যদি কলকাতার পুজো পাগলদের মুখভার হয় তাহলে তাঁদের জন্য মনটা একটু হালকা করার উপায় রয়েছে আলিপুরের আকাশবার্তায়। কারণ, এই পূর্বাভাস শুধুমাত্র কলকাতার জন্য নয়। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমের কিছু অংশ এবং পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুরের কপালেও নাচছে বৃষ্টির বাগড়া। অর্থাত্, আকাশকে শুধু কলকাত্তাইয়াদেরই গাল পাড়তে হবে না, গালি বর্ষণে যোগ দেবেন উপরোক্ত জেলাগুলির দর্শনার্থীরাও। আসলে পুজোর দিনগুলোয় আকাশের আয়না হয়ে ওঠে জনতার মুখ। আকাশ থমথমে হলে মানব মুখও থমথমে হয়...আর বারিধারা ঝড়ে পড়লে তো কথাই নেই, বাড়িতে বসা মুখগুলোর চোখের কোল ভিজতে থাকে...নাগাড়ে...কখনও প্রকাশ্যে, কখনও নিভৃতে...।