দিনেদুপুরে গুলি চলল দমদম পার্কে, গুরুতর জখম প্রোমোটার
দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকেরই মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল। খুব কাছ থেকে প্রোমোটার শেখর পোদ্দারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : দিনেদুপুরে দমদম পার্কে খুল্লামখুল্লা গুলি চলল। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন এক প্রোমোটার। আহত প্রোমোটারের নাম শেখর পোদ্দার। বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন তিনি। গুলি চলার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে লেকটাউন থানা। প্রাথমিক তদন্তের পর অভিযোগের তির স্থানীয় দুষ্কৃতী বাবু নায়েকের দিকে।
শনিবার সকালে শুটআটট দমদম পার্কে। জানা গিয়েছে, দমদম পার্কে নির্মীয়মান এক বহুতলের সামনে এদিন সকালে গুলি চলে। বাইকে চড়ে আসে দুষ্কৃতীদল। দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকেরই মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল। খুব কাছ থেকে প্রোমোটার শেখর পোদ্দারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। তারপরই বাইক ছুটিয়ে চম্পট দেয়। গুলি লাগে শেখর পোদ্দারের ডান হাতে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন শেখর পোদ্দার। গুলি চলার আওয়াজ শুনেই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। গুরুতর জখম অবস্থায় প্রোমোটারকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে 'গণধর্ষণ' পড়শির
শুটআউটের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শেখর পোদ্দার ও চিরদীপ রায় নামে দুই প্রোমোটার। বহুতলের নীচে দাঁড়িয়ে সেই সময় কথা বলছিলেন শেখর পোদ্দার ও চিরদীপ রায়। তখনই হামলার ঘটনাটি ঘটে। তবে হামলার কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। প্রোমোটিংয়ের বিবাদের জেরেই এই হামলা নাকি এর পিছনে রয়েছে সিন্ডিকেট অথবা তোলাবাজির দৌরাত্ম্য, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। জানা যাচ্ছে, দিন কয়েক আগেই শেখর পোদ্দারের কাছে ২০ লাখ টাকা তোলা চেয়ে ফোন করেছিল বাবু।
গুলি চলার ঘটনায় তদন্তে নেমেছে লেকটাউন থানা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে নির্মীয়মান ওই বহুতলে কর্মরত রাজমিস্ত্রি ও আশপাশের বাড়ির বাসিন্দাদের৷ অন্যদিকে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পুলিসের হাতে এসেছে। ফুটেজটি খতিয়ে দেখে বাইক আরোহী দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিস।
আরও পড়ুন, বিদেশি অতিথিদের জন্য হাইটেক 'সৌজন্য'-এর দ্বার খুলে দিলেন মমতা
কিন্তু, এলাকায় গুলি চলার ঘটনায় 'নিরুত্তাপ' দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পাঁচু রায়। তাঁর বক্তব্য, "দমদম পার্ক এলাকায় প্রোমোটিংয়ের রমরমা রয়েছে। কোটি টাকার লেনদেন হয় সেখানে। আর তাই সেখানে এধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে।" এদিকে, ঘটনার পর থেকেই থমথমে এলাকা। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ইদানিং দক্ষিণ দমদম এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তাঁরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।