North Bengal Medical: উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়ালে করোনা আক্রান্ত ১৪ ডাক্তারি পড়ুয়া, অন্যান্য জেলায় আক্রান্ত বহু চিকিত্সক
আসানসোল জেলা হাসপাতালে ৪ চিকিৎসক-সহ করোনা আক্রান্ত কমপক্ষে ৩০ জন
নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতার পর এবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও থাবা বসাল করোনা ভাইরাস। এখনওপর্যন্ত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ ডাক্তারি পড়ুয়া ও ৩ নার্সিং স্টাফ। আক্রান্তদের অবস্থা স্থিতিশীল। এমনটাই জানালেন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ডা সঞ্জয় মল্লিক।
মেডিক্যালে একসঙ্গে একজন ডাক্তারি পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হওয়ার চিন্তিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে প্রিন্সিপ্যাল ইন্দ্রজিত সাহার নেতৃত্বে। বৈঠক শেষ প্রিন্সিপ্য়াল জানিয়েছেন, সরকারি গাইডলাইন মেনেই আক্রান্তদের চিকিত্সা হবে। এর জন্য প্রস্তুত মেডিক্যাল কলেজ। হাসপাতালে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তদের জন্য ৮৩টি বেড রয়েছে। প্রয়োজন বেড সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। মোট ১৪ জন ডাক্তারি পড়ুয়া পজিটিভ হয়েছে। এখন যেহেতু ওমিক্রমের সংক্রমণ হচ্ছে তাই তার জন্য় যা ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা করা হচ্ছে।
জলপাইগুড়ি জেলার ৫ জন নার্সিং স্টাফ কোভিড পজিটিভ। জানালেন উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাক্তার সুশান্ত রায়।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েও করোনায় আক্রান্ত হুগলির পোলবা হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্স। জানালেন পোলবা হাসপাতালের বিএমওএইচ কৌশিক মন্ডল। তিনি জানান, পোলবা দাদপুর ব্লকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তিনজন নার্সিং স্টাফ ও একজন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারা প্রত্যেকে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত পোলবা-দাদপুর ব্লকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ল ১৬। এদের মধ্যে ১৩ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স প্রত্যেকেই জ্বর, সর্দি মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। র্যাপিড টেস্ট করার পর তাদের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আছে। অন্য সময় দেখা গেছে করোনা আক্রান্ত হলে তার মুখের স্বাদ বা গন্ধ চলে যায় উপসর্গ দেখা যায় ।কিন্তু এবারে অনেকেই বলছে মুখের স্বাদ ও গন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন-ককটেল ভ্যাকসিনই কি এখন বাঁচার একমাত্র রাস্তা? কী বলছেন বিশেষজ্ঞেরা?
আসানসোল জেলা হাসপাতালে ৪ চিকিৎসক-সহ করোনা আক্রান্ত কমপক্ষে ৩০ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ১০ জন টেকনিশিয়ান। এরা সবাই আরটিপিসিআর টেস্ট করেন। এছাড়াও আরও অনেকে করোনা টেস্ট করিয়েছেন। কিন্তু তাদের টেস্টের রেজাল্ট এখনও আসেনি। তবে এতে হাসপাতালের পরিষেবা কোনভাবেই বিগ্নিত ঘটবে না বলে জানালেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক মোহাম্মদ ইউনুস। তবে এইভাবে যদি কোভিড বাড়তে থাকে তাহলে স্বাস্থ্য ভবনে খবর পাঠিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা ঠিকমতো পরিচালনা করার ব্যবস্থা করতে হবে।
হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ৪৬ জন করোনা আক্রান্ত। এদের মধ্যে রয়েছেন দুজন ডেপুটি সিএমওএইচ ছাড়াও চিকিত্সক। তালিকায় রয়েছেন নার্সরাও। উলুবেড়িয়া হাসপাতালে সুপার সহ কোভিড পজিটিভ ১২ জন। এদের ফুলেশ্বরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিছুদিন ধরেই এদের মৃদু উপসর্গ ছিল।