Malda Murder: 'তুমি তো ওকেই বিয়ে করবে', চিঠির সূত্র ধরেই 'ভয়ঙ্কর' অবস্থায় মিলল মালদার 'নিখোঁজ' ছাত্রী
অভিযুক্ত 'প্রেমিক' শামিম আক্তার দাবি করেছে, তার সঙ্গে ছাড়াও ওই ছাত্রী আরও কয়েকজন যুবকের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়েছিল। সেইজন্যই তাকে খুন করেছে সে।
রণজয় সিংহ: পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর 'প্রেমিক'-কে জেরা করতেই খোঁজ মিলল একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর। পর্দাফাঁস হল 'অন্তর্ধান' রহস্যের। পুলিসি জেরায় ভেঙে পড়ে অভিযুক্ত 'প্রেমিক' শামিম আক্তার ওই ছাত্রীকে খুনের কথা কবুল করে।
পুলিসি জেরায় সে জানায়, ওই ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে সে। তারপর দেহ ওই ছাত্রীর বাড়ির পিছনের পুকুরেই একটি গাছের শিকড়ের তলায় ঢুকিয়ে দিয়েছে। অভিযুক্ত 'প্রেমিক' শামিম আক্তার দাবি করেছে, তার সঙ্গে ছাড়াও ওই ছাত্রী আরও কয়েকজন যুবকের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়েছিল। সেইজন্যই তাকে খুন করেছে সে। কারণ ওই ছাত্রী তার জীবন 'নষ্ট' করে দিচ্ছিল।
ধৃত যুবকের স্বীকারোক্তির পরই পুরাতন মালদা থানার পুলিস যাত্রাডাঙা অঞ্চলের হালনা গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়ির পিছনের পুকুর থেকে উদ্ধার করে দেহটি। তবে ওই যুবক একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে একা খুন করেছে, নাকি তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্ত করছে পুলিস।
প্রসঙ্গত, নিখোঁজ ছাত্রীর বাড়ির পিছনে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তার ব্যাগ ও অন্তর্বাস। ব্যাগে মেলে একটি চিঠি। চিঠিতে লেখা ছিল, "তুমি তো ওকেই বিয়ে করবে। যেখানেই বিয়ে কর, শুধু এইটুকু বলব, ভাল থেকো। ভাল কাউকে দেখে বিয়ে করে নিও।" এমন চিঠির সূত্র ধরেই শামিম আক্তারকে জেরা করতে শুরু করে পুলিস। তারপরই সামনে আসে আসল ঘটনা।