কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাস খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত অভিজিত্ পুণ্ডারি

সোমবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর ডেবরা রাধামোহনপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তার কাছ থেকে একটি বন্দুকও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।

Updated By: Feb 18, 2019, 01:58 PM IST
কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাস খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত অভিজিত্ পুণ্ডারি

নিজস্ব প্রতিবেদন: নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাস খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত।  ধৃতের নাম অভিজিত্ পুণ্ডারি। সোমবার সকালে  পশ্চিম মেদিনীপুর ডেবরা রাধামোহনপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তার কাছ থেকে একটি বন্দুকও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।

বিধায়ক খুনের পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল। অভিজিতের বাংলাদেশ পালিয়ে যাওয়া নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়। এক্ষেত্রে পুলিস বিএসএফের সাহায্য চায়। গেঁদে ও বনগাঁ সীমান্তে বিএসএফের কাছে অভিজিতের ছবি দিয়ে সতর্ক করা হয়।

এর আগে এই ঘটনায় সুজিত মণ্ডল ও কার্তিক মণ্ডল নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।  ধৃত সুজিতকে জেরা করেই অভিজিতের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। জানা যায়, ঘটনার দিন অভিজিত মাঠেই ছিল।  সুজিতকে জেরা করে তদন্তকারীরা আরও জানতে পারেন, বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাসকে খুনের ছক অন্তত মাস ছয়েক আগে থেকেই হয়ে গিয়েছিল। চাকরির নাম করে তিন মাস কলকাতায় থাকে অভিজিত্ পুণ্ডারি। তখনই সে সত্যজিতকে খুনের ছক কষে। কলকাতায় তিন মাস কাটানোর পর ফের সে নদিয়ায় ফিরে যায়। গত ৬ মাস ধরেই সত্যজিতের প্রত্যেক গতিবিধির ওপর নজর রাখা হয়।

নিহত বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাস

আরও পড়ুন: কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাস খুনে গ্রেফতার আরও ২

গত বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।  ধৃতদের নাম কালীপদ মণ্ডল ও নির্মল বিশ্বাস। চাকদহের সিংহেরবাগান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, সত্যজিতের পরিবারের তরফে যে কজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে কালীপদের নাম তালিকায় ছিল, নির্মলের নাম ছিল না। কালীপদের বাড়ি হাঁসখালির দক্ষিণপাড়া এলাকায়। নির্মল মদনা এলাকার বাসিন্দা বলে সূত্রের খবর।

 

প্রসঙ্গত,  গত ৯ ফেব্রুয়ারি, শনিবার নদিয়ার মাজদিয়া ফুলবাড়ি এলাকায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাসের।  সেদিন এলাকার একটি সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন বিধায়ক। তাঁর দেহরক্ষীর সেদিন ছুটি ছিল। মঞ্চের সামনে থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। ডানদিক থেকে কোণাকোণি গুলি লাগে তাঁর মাথায়।

আরও পড়ুন: বিজেপি যোগ দিচ্ছেন শঙ্কুদেব পণ্ডা

রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। সেদিন সকলে যখন বিধায়কে নিয়ে ব্যস্ত, তখন জনতার ভিড়ে মিশে যায় আততায়ী।  সত্যজিতের স্ত্রী কয়েকজন সন্দেহভাজনের নামে হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় এই নিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করা হল।

 

.