Chalsa: ভেঙে পড়ার উপক্রম যোগাযোগের একমাত্র ভরসা সেতুর! কী বলছে নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত?
Chalsa: গত কয়েক দশকে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর কোনও সংস্কার করা হয়নি! সেতুটি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। সেতুটির নীচে ফাটলও দেখা দিয়েছে। পাশের রেলিং ভেঙে গিয়েছে। সেতুর পাশে রাস্তার একাংশে ধসও নেমেছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বর্ষায় প্রমাদ গুনছেন উত্তরবঙ্গের চালসার বাতাবাড়ির সাধারণ মানুষ। সেখানে বাইরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা কুর্তি নদীর উপরের একটি সেতু। কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরে ওই সেতুটি বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। সেতুর উপর দিয়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার রাস্তা। সেই রাস্তা দিয়ে রোজ স্কুল-কলেজ পড়ুয়া-সহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ যাতায়াত করেন। চলে টোটো, বাইক-সহ অন্যান্য ছোট গাড়িও। বিধাননগরের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগের এটিই প্রধান রাস্তা। এটি বিঘ্নিত হলে কী হবে?
আরও পড়ুন: North Bengal Flood: উত্তরবঙ্গের বন্যা-পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি ভুটানকেই দায়ী করল বাংলা...
অথচ গত কয়েক দশকে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতুর কোনও সংস্কার করা হয়নি! সেতুটি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। সেতুটির নীচে ফাটলও দেখা দিয়েছে। পাশের রেলিং ভেঙে গিয়েছে। সেতুর পাশে রাস্তার একাংশে ধসও নেমেছে।
এটা ঠিকই যে, ইতিমধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়া ওই সেতুর উপর দিয়ে প্রশাসনের তরফে ভারী যানবাহন চলাচল একরকম বন্ধই করে দেওয়া হয়েছে। তবে সেতুটি সত্যিই ভেঙে পড়লে বড় মাপের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছেই। তা ছাড়া দুর্ভোগ তো আছেই। সড়কপথে বিধাননগরের সঙ্গে বাতাবাড়ির যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। দেখা দেবে নানারকম সংকট।
দুর্বল ওই সেতুর উপর যে কোনও সময়ে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে-- এই আশঙ্কাতেই এখন দিন গুনছেন স্থানীয় মানুষ। দীর্ঘ দিন ধরেই বিধাননগর এলাকার বিভিন্ন মহল ওই সেতু সংস্কারের দাবিতে সরব হয়েছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুধুমাত্র সেতু সংস্কারের জন্য মাটি পরীক্ষা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগেও এলাকার জনগণ এই সেতুর সংস্কারের দাবিতে সরব হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Dooars: জঙ্গল-পাহাড়ে দেখুন বর্ষার অপরূপ রূপ, সঙ্গে বোনাস ইলিশ-বোরোলি...
এবারে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের এই এলাকার ২২ নম্বর আসনের তৃণমূলের নতুন জেলা পরিষদ সদস্য হিসেবে জয়ী হয়েছেন রেজাউল বাকি। স্বাভাবিক ভাবেই বিধাননগর এলাকার জনগণ আবার নতুন করে বেহাল এই সেতুর সংস্কারের আশা দেখছেন। এ বিষয়ে এলাকার জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য রেজাউল বাকি বলেন, এলাকায় ভোটের প্রচারে গিয়েও আমি কুর্তি সেতু সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছিলাম। জেলা পরিষদের বোর্ড গঠনের পরেই আমার প্রথম প্রস্তাব থাকবে সেতুটির সংস্কার। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি সেতু সংস্কারের কাজ শুরু হবে।