Bolpur Fire: গোরুপাচারকাণ্ডে নজর ছিল সিবিআইয়ের, বোলপুরে বেসরকারি ব্যাঙ্কে আচমকাই আগুন!
ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ড। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসেনজিৎ মালাকার: অনুব্রত মণ্ডলের পরিবারের সদস্য ও তাঁর 'ঘনিষ্ঠ' বেশ কয়েকজনের অ্য়াকাউন্টের হদিশ মিলেছে। গোরুপাচারকাণ্ডে বোলপুরের যে বেসরকারি ব্যাঙ্কে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই, সেই ব্য়াঙ্কেই আচমকাই আগুন লাগল! কীভাবে? ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল।
জানা গিয়েছে, ঘড়িতে তখন পৌনে এগারোটা। এদিন সকালে আগুন লেগে যায় বোলপুরের ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৩ ইঞ্জিন। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। ব্যাঙ্কের কর্মীদের কোনও ক্ষতি হয়নি। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ড। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রীর আশ্বাসে মিটল সংকট, ধর্মঘট প্রত্যাহার অস্থায়ী কর্মীদের, স্বাভাবিক হল SBSTC বাস পরিষেবা
এদিকে এই ঘটনার বীরভূমের আরও বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের অগ্নিকাণ্ড আশঙ্কা প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন অনুপম হাজরা। কেন? ফেসবুকে পোস্টে বিজেপি নেতা লিখেছেন,'কি মিষ্টি কাকতালীয় ব্যাপার! বোলপুরের যে ব্য়াঙ্কে আজ আগুন লাগল, সেই ব্য়াঙ্কে নাকি ইডি-র নজর ছিল, যেহেতু কেষ্টবাবুর বাড়ির সদস্য তথা ঘনিষ্টদের অ্য়াকাউন্ট নাকি ওই ব্যাঙ্কে ছিল! তার মানে বীরভূমে আরও বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কে আগুন লাগাতে পারে'।
এবার পুজো জেলে বসেই কাটাতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। গোরুপাচারকাণ্ডে কেষ্টকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সিবিআই সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে টাকা-পয়সা নেই। কিন্তু তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামে বিভিন্ন কোম্পানিকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেনের হদিশ মিলেছে। এই টাকার উৎস কী? অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট্যান্টকে জেরা করার পর, মেয়ের কাছে ব্যাঙ্কের নথি চেয়েছে তদন্তকারীরা। এমনকী, জেরা করা হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের আধিকারিকদেরও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, সুকন্যা মণ্ডলের অ্য়াকাউন্টে বৈদেশিক মুদ্রায় মাধ্যমে লেনদেন হত। বিদেশ থেকে টাকা ঢুকেছে অ্যাকাউন্টে! এর আগে, বোলপুরে যে বেসরকারি ব্যাঙ্কে এদিন আগুন লাগে, সেই ব্যাঙ্কেও দু'বার তল্লাশি চালিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
পড়ুন, আমাদের উৎসব স্পেশাল ই-ম্যাগাজিন
এদিকে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়েছে সুকন্যা মণ্ডলের। অভিযোগ, টেটে পাস না করেই বোলপুরে বাড়ির কাছেই কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পেয়েছিলেন তিনি। ক্লাস নেওয়া তো দূর অস্ত, একদিনও স্কুলে যাননি! উল্টে হাজিরা খাতা বাড়িতে পাঠিয়ে দিত স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাতে শুধু সই করে দিতেন কেষ্ট কন্যা! কেন? সুকন্য়া মণ্ডলকে আদালতে হাজিরা নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।