মন্ত্রীর আশ্বাসে মিটল সংকট, ধর্মঘট প্রত্যাহার অস্থায়ী কর্মীদের, স্বাভাবিক হল SBSTC বাস পরিষেবা
বাসচালক ও খালাসি মিলিয়ে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে এসবিএসটিসির মোট ৭২২ জন অস্থায়ী কর্মী কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, ২৬ দিনের কাজ নিশ্চিত করতে হবে। অস্থায়ী থেকে স্থায়ী করতে হবে।
![মন্ত্রীর আশ্বাসে মিটল সংকট, ধর্মঘট প্রত্যাহার অস্থায়ী কর্মীদের, স্বাভাবিক হল SBSTC বাস পরিষেবা মন্ত্রীর আশ্বাসে মিটল সংকট, ধর্মঘট প্রত্যাহার অস্থায়ী কর্মীদের, স্বাভাবিক হল SBSTC বাস পরিষেবা](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/09/28/391179-sbstc.jpg)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অবশেষে ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেন দক্ষিণবঙ্গ পরিবহনের অস্থায়ী কর্মীরা। ফলে মিটল পরিবহন সংকট। পুজোর মুখে ফিরল স্বস্তি। রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তীর আশ্বাসেই এদিন শেষমেশ ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন অস্থায়ী কর্মীরা। তাঁদের দাবি সমূহের মধ্যে মূলত দুটি দাবি পুজোর আগে মানার ক্ষেত্রে অনড় ছিলেন বাস কর্মচারীরা। যদিও ২৬ দিন কাজের দাবি মানা হয়নি। তবে বাকি বকেয়া মেটানোর বিষয়ে পুজোর পর বসে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তাই তাঁর কথা রাখতে ও মানুষ যাতে পুজোর সময় সমস্যায় না পড়েন, সেইজন্য আপাতত ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে জানিয়েছেন অস্থায়ী কর্মীরা। বুধবার সকাল থেকেই সরকারি ডিপো থেকে স্বাভাবিক হয় বাস চলাচল। স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়েন যাত্রীরাও।
সরকারি বাস পরিষেবা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতেই দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার ও সিটি ডিপোতে সেই চেনা ব্যাস্ততার ছবি ধরা পড়ল। বাঁকুড়া ডিপো থেকেও সরকারি বাস পরিষেবা স্বাভাবিক। কাজে যোগ দেন অস্থায়ী কর্মীরা। টানা ভোগান্তির পর পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ায় স্বভাবতই খুশি যাত্রীরা। প্রসঙ্গত, এতদিন কলকাতা-ঝাড়গ্রাম, কলকাতা-পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া সহ দুর্গাপুর-বাঁকুড়ার একাধিক রুটের বাস বন্ধ ছিল। যার কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছিলেন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী। মন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, 'পরিবহন ব্যবস্থাকে অচল কেউ করতে পারে না। এভাবে অচল করতে পারেন না পরিবহন কর্মীরা। সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় ফেলা কাম্য নয়।'
আরও পড়ুন, Dengue Death: বিয়ের বছর ঘুরতেই তরুণীর প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গি, পুজোর মুখে বাড়ছে উদ্বেগ
বাসচালক ও খালাসি মিলিয়ে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে এসবিএসটিসির মোট ৭২২ জন অস্থায়ী কর্মী কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, ২৬ দিনের কাজ নিশ্চিত করতে হবে। অস্থায়ী থেকে স্থায়ী করতে হবে। সম কাজে সম বেতন দিতে হবে। বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। সবেতন ছুটির মঞ্জুর করতে হবে। এসবিএসটিসি-র নির্ধারিত রুট চালু করতে হবে। অস্থায়ী ছাঁটাই কর্মীদের পুনর্নিয়োগ করতে হবে।