কোভিড পজিটিভ হওয়ায় মিলল না বেড, আউটডোরেই প্রসব তরুণীর
রবিনার বাবা প্রসেনজিত্ বর্মন বলেন, কর্তব্যরত চিকিত্সককে অনুরোধ করেছিলাম, আমরা গরিব মানুষ। এখানেই যদি কিছু ব্যবস্থা করা যায়
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আক্রান্ত সন্তানসম্ভবা। তাই ভর্তি না নিয়ে রেফার করে দেওয়া হল জেলা সদর হাসপাতালে। এদিকে অমিল অ্যম্বুল্যান্স। হাসপাতালের আউটডোরেই সন্তানের জন্ম দিলেন তরুণী। এমনটাই ঘটল জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে।
আরও পড়ুন-দলে কোনও বেসুর নেই, এক-দু'জন চলে গেলে কিছু যায় আসে না: Dilip Ghosh
প্রসব যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় শুক্রবার সন্ধে নাগাদ মাথাভাঙার(Mathabhanga) ক্ষেতি-ফুলবাড়ির বাসিন্দা প্রসেনজিত্ বর্মনের মেয়ে রবিনা বর্মনকে নিয়ে আসা হয় ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তার করোনা পরীক্ষা হলে তা পজিটিভ হয়। হাসপাতালের চিকিত্সক জানিয়ে দেন রবিনার বয়স কম ও বাচ্চা বড় হয়ে গিয়েছে। তাই তাকে জলপাইগুড়ি(Jalpaiguri) সদর হাসপাতালে রেফার করা হল।
রবিনার বাবা প্রসেনজিত্ বর্মন বলেন, কর্তব্যরত চিকিত্সককে অনুরোধ করেছিলাম, আমরা গরিব মানুষ। এখানেই যদি কিছু ব্যবস্থা করা যায়। কিন্তু উনি তা শোনেননি। শেষপর্যন্ত মেয়েকে আউটডোরেই শুইয়ে রেখে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। এর মধ্যেই একটি ফুটফুটে বাচ্চার জন্ম দেয় রবিনা। এরপরই ডাক্তার, নার্সরা ছুটে এসে ওকে লেবার রুমে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন ধূপগুড়ির বিএমওএইচ।
আরও পড়ুন-আপনার রায়ে 'জয় শ্রী রাম' বিতর্ক, Zee ২৪ ঘণ্টা টার্নিং পয়েন্ট, মানলেন Saayoni
এনিয়ে বিএমওএইচ ডা সুরজিত্ ঘোষ বলেন, নিয়ম অনুযায়ী যেকোনও মহিলা প্রসব বেদনা নিয়ে এলে তার কোভিড টেস্ট করা হয়। মা কোভিড পজিটিভ হলে তাকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই রোগীর ক্ষেত্রেও একই জিনিস হয়েছে। উনি জেলা হাসপাতালের যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্য়ান্সের অপেক্ষা করছিলেন। ব্লকের অ্যাম্বুল্যান্স পেশেন্ট নিয়ে জলপাইগুড়ি গিয়েছিল। ওই অ্যাম্বুল্যান্স ফেরার আগেই এখানেই মা বাচ্চা প্রসব করে। তার পরে ওই মায়ের পরিচর্যার সব ব্যবস্থা করা হয়। পরে তাকে জলপাইগুড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)