মিলল না সমাধান, কমিটির সামনেই পড়ুয়াদের ধমক উপাচার্যের
বৈঠক শেষে সব পক্ষেরই দাবি, তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলে মনে হল, একক ভাবে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে যে, মেলার মাঠে পাঁচিল করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাঁচিল বিতর্কে আজ তদন্ত কমিটির সঙ্গে আশ্রমিক, পড়ুয়া ও ব্যবসায়ী সমিতির বৈঠক ছিল। সেখানে তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সব পক্ষই। শুধু তাই নয়, বৈঠকে পাঁচিল নির্মাণের বিরোধিতা করায় কমিটির সামনেই পড়ুয়ারা ধমক খেল বিশ্বভারতীর উপাচার্যের।
বৈঠক শেষে সব পক্ষেরই দাবি, তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলে মনে হল, একক ভাবে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে যে, মেলার মাঠে পাঁচিল করা হবে। এখানে সব পক্ষই একটু আগের প্রসঙ্গ টেনে আনছেন। তাঁদের দাবি, সুভাষ দত্ত শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা নিয়ে গ্রিন ট্রাইবুনাল কোর্টে যে মামলা করেছিলেন, সেই রায়ে কিন্তু আদালত মূলত মেলা কতটা জায়গা জুড়ে হবে, সেই চিহ্নিতকরণটুকু করে নেওয়ারই নির্দেশ দিয়েছিল। এই প্রসঙ্গ টেনে বৈঠকের তিন পক্ষই জানাচ্ছে, তা হলে কেন এখন পাঁচিল নির্মাণের ওপরই জোর দেওয়া হচ্ছে!
বিশ্বভারতীর তদন্ত কমিটির সঙ্গে আলোচনায় বৈঠক না করেই বেরিয়ে এলেন ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা। তাঁদের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি একপেশে সিদ্ধান্ত নিয়েই বসে আছে যে, ফেন্সিং করা হবে। ব্যবসায়ী সমিতির তরফে সুব্রত ভগত জানান, 'আমরা চাই, মাঠ খোলামেলা থাকুক। কিন্তু আমাদের কথা মানা হচ্ছে না। তা হলে আর আলোচনার কী থাকল? তাই আমরা বেরিয়ে এলাম। আগামীদিনে আইনের দ্বারস্থ হব।'
বৈঠকের মধ্যেই পাঁচিলের বিরোধিতা করায় তদন্ত কমিটির সামনেই পড়ুয়াদের প্রতি ধমকের সুর শোনা যায় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর গলায়। ছাত্রদের অভিযোগ, তাঁরা পাঁচিলের বিরোধিতা করেছেন বলে তাঁদের ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দেন উপাচার্য। ছাত্রদের তরফে অভিষেক মণ্ডল জানান, 'স্বাভাবিক ভাবেই ভয় ও আশঙ্কার মধ্যে রয়েছি আমরা।'
আজ তদন্ত কমিটির সঙ্গে এই বৈঠককে এক হিসেবে ব্যর্থই বলছেন আশ্রমিকেরা। আশ্রমিকদের তরফে সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'বৈঠকে পাঁচিল নিয়ে কোনো সমাধানসূত্র মিলল না।'
কমিটি ও কর্তৃপক্ষ পাঁচিল করার কথা জানালেও, ছাত্রছাত্রী, আশ্রমিক, ব্যবসায়ী সমিতি সকলেই প্রাচীরের বিরোধিতা করেছেন ৷