Durga Pujo 2022: চাঁচল রাজবাড়ির পুজো ১৭ দিন, উৎসবের থিম? সম্প্রীতি!
Chanchal Palace : রাজবাড়ির একটি অংশে তৈরি হয়েছে মহকুমা আদালত। আর একটি অংশে এখন কলেজ। সময়ের তালে তাল মিলিয়ে রাজবাড়ির গৌরব হারিয়েছে। কিন্তু ঐতিহ্যের গরিমায় আজও উজ্জ্বল তিনশো বছরেরও বেশি প্রাচীন এই রাজবাড়ির পুজো। এখনও সম্প্রীতির সুরে বাঁধা চাঁচল রাজবাড়ির পুজো। একদিন নয়, দু’দিন নয়, টানা ১৭ দিন ধরে এই পুজো হয়। আজও রাজবাড়ির দেওয়ালে কান পাতলে শোনা যায় সেই সকল কাহিনি।
Chanchal Palace, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজবাড়ির একটি অংশে তৈরি হয়েছে মহকুমা আদালত। আর একটি অংশে এখন কলেজ। সময়ের তালে তাল মিলিয়ে রাজবাড়ির গৌরব হারিয়েছে। কিন্তু ঐতিহ্যের গরিমায় আজও উজ্জ্বল তিনশো বছরেরও বেশি প্রাচীন এই রাজবাড়ির পুজো। এখনও সম্প্রীতির সুরে বাঁধা চাঁচল রাজবাড়ির পুজো। একদিন নয়, দু’দিন নয়, টানা ১৭ দিন ধরে এই পুজো হয়। প্রত্যেকটা বনেদি পুজোর (Durga Puja) মতোই এই পুজোরও নিজস্ব কিছু ঐতিহ্য ও কাহিনি আছে। আজও রাজবাড়ির দেওয়ালে কান পাতলে শোনা যায় সেই সকল কাহিনি।
সতেরো শতকের শেষভাগ। সেই সময় উত্তর মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকার রাজা ছিলেন রামচন্দ্র রায়চৌধুরি। প্রজাদরদী এবং ধর্মপ্রাণ হিসেবে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়েছিল পূর্ব ভারত জুড়ে। কথিত আছে, একবার রাজা দেবী চণ্ডীর স্বপ্নাদেশে মহানন্দার ঘাটে স্নান করতে যান। সেই সময় তাঁর হাতে চতুর্ভুজা অষ্টধাতুনির্মিত মূর্তি উঠে আসে। দেবী চণ্ডীর অষ্টধাতুর মূর্তি সতীঘাটা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে রাজবাড়িতে এনে প্রতিষ্ঠা করেন চাঁচলের রাজা রামচন্দ্র। সেদিন থেকেই রাজবাড়িতে শুরু হয় দেবীর নিত্যপুজো। প্রতিবছর মহাসমারোহে রাজবাড়ির দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীকালে পুজোর জন্য পাকা মন্দির নির্মাণের করেন। মন্দির তৈরির পর রাজা রামচন্দ্র, দুর্গাপুজোর জন্য সেই সময় সাত হাজার টাকাও বছরে বরাদ্দ করেন। আজও প্রাচীন প্রথা মেনে সপ্তমী তিথিতে রাজবাড়ি থেকে দুর্গাদালানে নিয়ে আসা হয় অষ্টধাতুর চতুর্ভুজা মা চণ্ডীকে। দশমীতে তিনি ফের রাজবাড়িতে ফিরে যান। দীর্ঘ ১৭ দিন ধরে চলে পুজো।
আরও পড়ুন : তিনি বৃহন্নলা, তো! তাঁর হাতেই চিন্ময়ী সেজে ওঠেন মৃন্ময়ীরূপে
সময় বয়ে গিয়েছে অনেকটাই। এখন সেই রাজা নেই, রাজ্যপাটও নেই। চাঁচল রাজবাড়িতে এখন স্থাপিত হয়েছে কলেজ, মহকুমা প্রশাসনিক ভবন, আদালত-সহ একাধিক সরকারি দপ্তর। তবে রাজবাড়ির একাংশে থাকা ঠাকুরবাড়ি এখনও আগের মতোই রয়ে গিয়েছে। তবে এই রাজবাড়ির পুজো আলাদা আরও এক অভিনব কারণে। সেই আদিকাল থেকেই আজও বিসর্জনের সময় সেখানকার অর্থাত্ মরা মহানন্দার নদীর ওপারের বৈরগাছি এলাকার মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ লণ্ঠন নিয়ে পথ দেখান মাকে। সেই রীতি এখনও প্রচলিত।