Dunkuni Robbery: সাহসিকতার স্বীকৃতি, ৪ ডাকাততে ধরে পুরস্কৃত ভদ্রেশ্বর থানার পিএসআই
ভরদুপুরে ডানকুনিতে সোনার দোকানে ডাকাতি। সেই ঘটনার ছবি ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্য়ামেরা। সেদিনই গ্রেফতার করা হয় ৪ দুষ্কৃতীকে। উদ্ধার সোনা, আগ্নেয়াস্ত্র।
পিয়ালী মিত্র: চাকরিতে প্রবেশনের মেয়াদ শেষ হয়নি এখনও। ৪ জনকে ডাকাততে ধরে ফেলেছেন হুগলির ভদ্রেশ্বর থানার পিএসআই আসানুল হক। উদ্ধার হয়েছে ২৫ কেজি সোনা, এমনকী ৫ আগ্নেয়াস্ত্রও! সাহসিকতার জন্য তাকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিল চন্দননগর কমিশারেট।
ঘটনার সূত্রপাত্র বৃহস্পতিবার। সেদিন দুপুর ডানকুনির অহল্যাবাঈ রোডে সোনার দোকানে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। কীভাবে? ক্রেতা সেজে। ঘড়িতে তখন পৌনে পৌনে ৩টে। শুরু হয় অপারেশন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে ভিতরে আনা হয়। দোকানের কর্মী, এমনকী ক্রেতাদেরও মারধর করে দুষ্কৃতীরা। এরপর তাঁদের একটা ঘরে আটকে রেখে চলে লুঠপাট।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিসও। ততক্ষণে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কোথায় গেল তারা? সিসিটিভি ফুটেজ থেকে অভিযুক্তদের ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয় সবকটি থানায়। সঙ্গে নাকা চেকিংও। বাদ যায়নি ভদ্রেশ্বর থানা এলাকাও। প্রথমে শেওড়াফুলি স্টেশনে পৌঁছন ওই থানার পিএসআই আসানুল হক। সেখান থেকে আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড। কেন? অতীতে দেখা গিয়েছে, ডাকাতি করার পর আরামবাগ থেকে বিষ্ণুপুর হয়ে ঝাড়খণ্ড চলে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এক্ষেত্রেও তেমনটা হতে পারে বলে অনুমান করেছিলেন আসানুল।
তারপর? সিসিটিভিতে যে ৪ জনের ছবি ধরা পড়েছিল, সেই ৪ জনকে আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে দেখতে পান ভদ্রেশ্বর থানার পিএসআই। এমনকী, তাদের পিছু পিছু বাসেও উঠে পড়েন তিনি। নিজের পরিচিত জায়গায় বাসটি পৌঁছানো পর্যন্ত অপেক্ষা করেন আসানুল। কারণ, তাঁর সঙ্গে তখন আর কেউ ছিল না। শেষপর্যন্ত বাসটি যখন হুগলি-বাঁকুড়ার সীমান্তের কাছে খাটুল বাজার এলাকায় পৌঁছয়, তখন চোর চোর বলে চিৎকার করে ওঠেন। তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন বাসের অন্য যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বাস থেকে নামিয়ে ওই ৪ দুষ্কৃতীকে আটকে রাখা হয় একটি ক্লাব ঘরে।এরপর খবর দেওয়া হয় থানায়।
আরও পড়ুন: Primary TET: হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকে নিয়োগ শুরু, ইন্টারভিউতে ডাক পেলেন ১৮৭ জন
এর আগে, ভরদুপুরে একই কায়দা ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায়, বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখায়। ব্যাঙ্ককর্মীদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার ছবিও ধরা পড়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরায়। টাকা-সহ ৩ জনকে আটক করে পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মুখে মুখোশ আর মাথা টুপি পরে ব্যাঙ্কে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। এরপর রীতিমতো মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ব্যাঙ্কের কর্মীদের। কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন। ১০ মিনিট ধরে চলে লুটপাট।