রাজ্যে এই জেলায় বিজেপিতে বড় ভাঙন, পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে মণ্ডল সভাপতি সহ ৪০০ নেতা-কর্মী
বিজেপি সাংগঠনিক নেতা শান্তনু সাউ বলেন, সারা বাংলা জুড়েই তৃণমূল টাকা খাইয়ে দল বদল ঘটাচ্ছে। লোভ দেখানোর খেলা চলছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সবংয়ে ফের ভিত শক্ত হল শাসক দলের। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বহু নেতা কর্মী! বছর ঘুরলেই ২০২১-এ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। তার আগেই এবার সবংয়ে ভাঙন এবার পদ্ম শিবিরে। বিজেপি ছেড়ে এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির পূর্ব মণ্ডল সহ-সভাপতি লালুপ্রসাদ ভূঁইয়া সহ প্রায় ৪০০ কর্মী, সমর্থক।
শনিবার বিকেলে এই দল বদলের ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে সবংয়ে। এদিন বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ৪০০ কর্মী, সমর্থকদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অজিত মাইতি, সাংসদ মানস ভুঁইয়া ও বিধায়ক গীতা ভুঁইয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অনেকেই। বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূল আসা কর্মীদের বক্তব্য, দলের প্রতি আস্থা হারিয়েই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিলেন।
অন্যদিকে, স্থানীয় ঘাটাল বিজেপি সাংগঠনিক নেতা শান্তনু সাউ বলেন, সারা বাংলা জুড়েই তৃণমূল টাকা খাইয়ে দল বদল ঘটাচ্ছে। লোভ দেখানোর খেলা চলছে। মিথ্যে মামলা করে বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা করছে। সবংয়েও সেরকমই হয়েছে। ওরা হয়তো সাময়িকভাবে ভাবছে বিজেপিকে ভেঙে মানুষের কাছে অন্য বার্তা দেব। কিন্তু সবংয়ে বিজেপিই জিতবে। এখানে তৃণমূলের কোনও জায়গা নেই। যাঁরা যাঁরা আজ তৃণমূলে গিয়েছেন, ভোটের আগে ওনারা আবার বিজেপিতে ফিরবে। বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না। একুশে বাংলায় বিজেপি-ই ক্ষমতায় আসছে।
ওদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, "মিথ্যে প্রচার। মিথ্যে অভিযোগ। বিজেপির মত আমাদের অত টাকা নেই। বিজেপি ব্যাঙ্ক লুঠ করেছে নীরব মোদির হাত ধরে। বিদেশে পালিয়ে গেছে। বিজেপি মানে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়িক পার্টি।"
আরও পড়ুন, তুফানগঞ্জে নব্য ও পুরাতন বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষে জখম ৬