রন্টিদের গোলের বন্যা, ভাইচুংয়ের দলকে দশ গোল দিল প্রয়াগ
আই লিগের ইতিহাসে অন্যতম বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়ল প্রয়াগ ইউনাইটেড। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে রন্টি মার্টিন্সরা ১০-১ গোলে হারাল ভাইচুং ভুটিয়ার ক্লাব ইউনাইটেড সিকিম এফসিকে। নতুন ডাচ কোচ এলকো এলকো স্যাতোরি যোগ দিতেই প্রয়াগ আই লিগে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দিল।
প্রয়াগ ইউনাইটেড (১০) ইউনাইটেড সিকিম (১)
আই লিগের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়ল প্রয়াগ ইউনাইটেড। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে রন্টি মার্টিন্সরা ১০-১ গোলে হারাল ভাইচুং ভুটিয়ার ক্লাব ইউনাইটেড সিকিম এফসিকে। নতুন ডাচ কোচ এলকো এলকো স্যাতোরি যোগ দিতেই প্রয়াগ আই লিগে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দিল। রন্টি মার্টিন্স একাই পাঁচটা গোল করলেন। ম্যাচের বিরতিতে খেলার ফল ছিল ৫-১। রন্টি ৩৯ মিনিটের মধ্যেই হ্যাটট্রিক সেরে ফেলেন। জোড়া গোল করলেন বিশ্বকাপার কোস্টরিকার কার্লোস হার্নান্ডেজ। টুলুঙ্গা, মহম্মদ রফিক, মাইকেল রডরিগেজরাও গোলের বর্ষণে যুবভারতীকে ভাসিয়ে দিলেন।
খেলার তিন মিনিট থেকেই গোলের শুরু। প্রথম গোল করেন র্যান্টি। তিন মিনিট বাদেই সিকিম ইউনাইটেডের হয়ে গোল শোধ করে দেন নিনা তামাং। ব্যস! বাইচুংয়ের দলের সব জারিজুরি সেখানেই শেষ। এরপর শুধুই প্রয়াগ আর র্যান্টি। গোল দেখতে দেখতে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যান। তবে শেষের দিকে রন্টিরা আরও একটু তত্পর হলে ডেম্পোর রেকর্ড ভেঙে ছোঁয়া যেত। গতবার আই লিগে এয়ার ইন্ডিয়াকে ১৪-০ গোলে হারিয়েছিল ডেম্পো। আই লিগে সেটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জেতার রেকর্ড। ভারতীয় ফুটবলে এতো গোল জেতার ঘটনা খুব কমই ঘটে যুবভারতীতে যে কজন ছিলেন তারা সবাই আজ র্যান্টি আর কোচ এলকোকে নিয়ে ধন্য ধন্য করছেন।
যুবভারতীতে আজ প্রয়াগের গোলবর্ষণ দেখে অবাক দেশের ফুটবলমহল। ইউনাইটেড সিকিমের মত দলকে এতগোলে হারাতে দেখে অনেকেই অবাক। অনেকেই বলছেন, রন্টিদের এই এত বড় জয়ের পিছনে পাত রয়েছে নবাগত কোচ এলকোর।
প্রয়াগের নতুন কোচ এলকোর পছন্দের দল বার্সেলোনা। তিকতাকা ফর্মেশন তাঁর বড্ড পছন্দের। একে ডাচ, তার ওপর আবার বার্সেলোনা। এলকো কিন্তু প্রথম ম্যাচেই বুঝিয়ে দিলেন গোল আর আক্রমণই তাঁর কোচিংয়ের সেরা দর্শণ। কলকাতার মাঠে আইলিগে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জিতে ইতিহাস গড়া প্রয়াগ ইউনাইটেডের কাছ থেকে শনিবার প্রাপ্তি ছিল শুধু বড় জয়ই নয়,ভারতীয় ফুটবল থেকে হারিয়ে যাওয়া পাসিং ফুটবলের পুনরাবৃত্তি। ইউনাইটেড সিকিম মোটেই হেলাফেলার দল নয়, তাদের দশ গোল দেওয়াটা নেহতাই একটা বিছিন্ন ঘটনা কিনা সেটা প্রমাণেরই দায়িত্ব এখন রন্টিদের কাঁধে।