তিন দিন চলবে তো টেস্ট? গোলাপি বলে কীভাবে খেলতে হয় ইডেনে দেখালেন বিরাট
গোলাপি বল বেশি সুইং করে। রাতে কৃত্রিম আলোয় কেমন হবে বলের মেজাজ? তা নিয়ে একটা কৌতূহল ছিলই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইন্দোরে ৩ দিনেই শেষ হয়েছিল ম্যাচ। ইডেনে ঐতিহাসিক গোলাপি বলের দিবারাত্রির টেস্ট কত দিন চলবে? প্রথম দিনের খেলা শেষেই উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে তো মস্করা করে বলছেন, চতুর্থ ও পঞ্চম দিনের খেলার টিকিট যাঁদের কাছে আছে, তাঁদের জন্য রইল গভীর সমবেদনা। কারণ, ভারতের পেসার ত্রয়ীর সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং। ১০৬ রানে অলআউট। জবাবে ভারত দিনের শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৪। ক্রিজে অর্ধ শতরান করে অপরাজিত রয়েছেন বিরাট কোহলি।
গোলাপি বল বেশি সুইং করে। রাতে কৃত্রিম আলোয় কেমন হবে বলের মেজাজ? তা নিয়ে একটা কৌতূহল ছিলই। কিন্তু সূর্য পুরোপুরিভাবে অস্ত যাওয়ার আগেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। বলা ভাল, ভেঙে পড়ল ব্যাটিং লাইনআপ। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মমিনুল হক। শুরুতেই ফিরে যান ইমরুল উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কায়েস। এরপর যাওয়া-আসা। পরপর তিন জন ব্যাটসম্যান ফিরলেন খালি হাতে- গোল্ডেন ডাক। উমেশ যাদব ও শামির আগুনে গতি ও স্যুইংয়ের সামনে রীতিমতো দিশেহারা দেখাচ্ছিল পড়শিদের। তাও একটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন লিটন দাস ও সাদমান। কিন্তু সাদমান টিকতে পারলেন না। আর লিটন তো চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন। প্রথম সারির ব্যাটসম্যানরাই যেখানে ব্যর্থ সেখানে টেলএন্ডাররা কীভাবে পারবেন? তাও একশো পার করে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের স্কোর ১০৬।
ভারত ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হারিয়ে ফেলে ওপেনার ময়াঙ্ক আগরওয়ালকে। রোহিত আবার জায়েদের বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেলেন বাউন্ডারি লাইনে। কিন্তু সহজ ক্যাচ ফস্কান আল আমিন। এতেই বাংলাদেশের শরীরী ভাষা অনেকখানি স্পষ্ট হয়ে যায়। ম্যাচ হারার আগেই যেন হেরে বসে রয়েছে তারা। ফিল্ডারদের মধ্যেও দেখা যায়নি তত্পরতা। রোহিত অবশ্য সুযোগ কাজে লাগিয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে কীভাবে গোলাপি বল খেলতে হয়, তার একটা ছোট্ট ঝলক দিয়ে গেলেন বিরাট কোহলি। অনেকখানি এগিয়ে এসে খেলছেন বল। বলের উপর থেকে একবারও সরেনি নজর। খেলছেন সোজা ব্যাটে। বিরাট বোঝালেন, বেস্টের সঙ্গে গ্রেটের ফারাক ঠিক কোথায়? দিনের শেষে বিরাট ৫৯ রানে অপরাজিত। তাঁর কাছ থেকে একটা বিরাটোচিত শতরান দেখতে চাইছেন ইডেনের দর্শক। কালকের ম্যাচে আসার সম্ভবত এটাই একমাত্র আকর্ষণ।
বাংলাদেশের সামান্য স্কোর ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে ভারত। ৩ উইকেট হারিয়ে তারা ১৭৪। এগিয়ে রয়েছে ৬৮ রানে। লড়াই ছাড়া খেলা জমে না। ঐতিহাসিক গোলাপি টেস্ট স্মরণীয় করে রাখতে শনিবারের বারবেলায় বাংলাদেশের থেকে একটা প্রত্যাঘাতের আশা করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু বাংলাদেশে সেই মানের গতিসম্পন্ন ও স্যুইং বোলার নেই। স্পিন দিয়ে ভারতকে বাগে আনা যাবে না। ফলে পেসারদেরই গোলাপি বলে কারিকুরি দেখাতে হবে। ক্রিকেটে অসম্ভব বলে কিছু নেই। অঘটন ঘটতেই পারে। বাংলাদেশের থেকে একটা সাহসী লড়াইয়ের অপেক্ষায় ক্রিকেটের নন্দনকানন।
আরও পড়ুন- Exclusive: বাবার ডায়াবেটিস কমেছে? জয় শাহের কাছে অমিতের খোঁজ নিলেন মমতা