১০ বছরে আটজন বয়স্ক নাগরিককে বিয়ে! নতুন বউকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিস
বিয়ের পর অবশ্য এক সপ্তাহও কাটেনি। জুগবাবুর ভুল ভাঙে এক সকালে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- জুগল কিশোর। ষাটোর্ধ্ব জুগলবাবুর টাকা-পয়সার অভাব ছিল না। তবে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে অনন্ত শূন্যতা ঘিরে ধরেছিল তাঁকে। এর মধ্যে ছেলে ও পুত্রবধূ আলাদা বাড়িতে থাকবেন বলে ঠিক করেন। ফলে পেশায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী মনমরা হয়ে যান। চেয়েছিলেন শেষ বয়সে যদি কোনো সঙ্গীনি পাওয়া যায়! যাঁর সঙ্গে দুটো মনের কথা বলবেন। আর তাই তিনি একটি ম্যাট্রিমনি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই সংস্থার মালিক তাঁর সঙ্গে আলাপ করান মোনিকা মালিক নামে এক মহিলার। সুন্দরী, শিক্ষিতা সেই মহিলাকে দেখেই ভাল লেগে যায় জুগলবাবুর। এদিকে সেই সংস্থার মালিকও তাঁকে বলেন, মোনিকাই তাঁর জন্য একেবারে ঠিকঠাক জীবনসঙ্গী। ফলে মোনিকাকে বিয়ে করবেন বলে ঠিক করে ফেলেন জুগলবাবু। যেমন ভাবনা তেমন কাজ।
বিয়ের পর অবশ্য এক সপ্তাহও কাটেনি। জুগবাবুর ভুল ভাঙে এক সকালে। ঘুম থেকে উঠে দেখেন নতুন বউ উধাও। সঙ্গে বাড়ির দামি গয়নাগাটি ও নগদ ১৫ লাখ টাকাও উধাও। জুগলবাবু সেই সংস্থার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু হিতে বিপরীত হয়। সেই সংস্থার মালিক তাঁকে হুমকি দিতে শুরু করে। সেই সংস্থার মালিক জুগলবাবুকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর শাসানি দিতে থাকে। অসহায় জুগলবাবুর একে তো একাকিত্বের জ্বালা। তার উপর প্রতারিত হওয়ার দুঃখ। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। এরই মধ্যে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় আরেকজনের। সেই ভদ্রলোকও একইভাবে প্রতারিত হয়েছিলেন বলে জানান। আর দুজন কথা বলে বুঝতে পারেন, তাঁদেরকে ঠকিয়েছেন সেই একই মহিলা।
জুগলবাবু এর পরই পুলিসে দ্বারস্থ হন। জানা যায়, সেই ম্যাট্রিমনি সংস্থাও এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। সেই সংস্থার মালিককে পুলিস হেফাজতে নিয়েছে। আর সেই মহিলাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিস। তদন্ত নেমে পুলিস জানত পেরেছে, সেই মহিলা গত দশ বছরে আটজন বয়স্ক নাগরিকের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন আর প্রতিবারই গয়না ও টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে। আর প্রতিবারই সেই একই ম্যাট্রিমনি সংস্থা বিয়ের যোগ করে দিয়েছে।