নির্বিঘ্নেই শেষ হল উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ
মোটের ওপর নির্বিঘ্নেই শেষ হল উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। ভোটদানের হার ছিল প্রায় ৫৬ শতাংশ।
প্রথম দফার ভোটগ্রহণের পরই সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে যুযুধান রাজনৈতিক শিবিরগুলিতে শুরু হয়েছে যুগপত্ জল্পনা আর উদ্বেগের চোরাস্রোত। আর এরই মধ্যে শনিবার শেষ হল উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। ভোটদানের হার ছিল প্রায় ৫৬ শতাংশ।
সন্ত কবির নগর, মহারাজগঞ্জ, গোরক্ষপুর, কুশীনগর, দেওরিয়া, আজমগড়, মাউ, বালিয়া এবং গাজিপুর- শনিবার দ্বিতীয় দফার ভোটে ইভিএম-বন্দি হয়েছে পূর্ব-উত্তরপ্রদেশের এই ৯ জেলার ৫৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের জনমত। ২০,০০ পোলিং বুথে ভাগ্য নির্ধারিত হবে ১০৯৮ জন প্রার্থীর। ৮৭ লক্ষ ৫০ হাজার মহিলা-সহ মোট ভোটদাতার সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৯৪ লক্ষ। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, রাজ্য বিধানসভার স্পিকার সুখদেও রাজভর, বিএসপি`র রাজ্য সভাপতি স্বামীপ্রসাদ মৌর্য, বিএসপি`র অন্যতম শীর্ষনেতা তথা রাজস্বমন্ত্রী ফাগু চৌহান, বিজেপি`র রাজ্য সভাপতি সূর্যপ্রতাপ শাহী, সমাজবাদী পার্টির সহকারি পরিষদীয় দলনেতা অম্বিকা চৌধুরি, পিস পার্টির সভাপতি ড. আয়ুব, বাহুবলী প্রাক্তন সাংসদ তথা নবগঠিত কওমি একতা দলের প্রধান মুখতার আনসারি প্রমুখ।
ডি-লিমিটেশনের আগে ২০০৭ সালের বিধানসভা ভোটে এই ৯টি জেলায় আসন সংখ্যা ছিল ৬৩। এর মধ্যে বিএসপি ৩০, সমাজবাদী পার্টি ২১, বিজেপি ৭, কংগ্রেস ২ এবং নির্দল ও অন্যান্যরা ৩টি কেন্দ্রে জিতেছিল। যদিও ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে সমাজবাদী পার্টির মুসলিম ভোটব্যাংকে থাবা বসিয়ে এই এলাকা থেকে ২টি আসন জিতে নেয় সোনিয়া গান্ধীর দল। কংগ্রেস-সপা`র ভোট ভাগাভাগির জেরে আজমগড়ের মতো মুসলিম প্রধান এলাকায় জয়ের মুখ দেখে বিজেপি। এবার কল্যান সিংয়ের সঙ্গ ছাড়ায় হৃত মুসলিম জনভিত্তি পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী সমাজবাদী নেতৃত্ব। অন্যদিকে অ-জাটভ `অতিদলিত` এবং উচ্চবর্ণের ভোটের পাশাপাশি সংরক্ষণ-তাস খেলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনগ্রসর অংশের সমর্থন পেতে সক্রিয় কংগ্রেস।
উত্তরপ্রদেশের জনতা আগামী ৫ বছরের জন্য রাজ্যপাট পরিচালনার দায়িত্ব কাদের হাতে তুললে দেবে, ৬ মার্চ তা জানা যাবে। তবে প্রথম দফায় প্রবল বৃষ্টি সত্ত্বেও ভোটদানে মানুষের উত্সাহ এবং বিপুল ভোটের হার থেকে ফলের দিশা সম্পর্কে একটা আগাম আঁচ পাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। রাজ্যে `পরিবর্তন`-এর একটা চোরাস্রোত বইছে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে মিডিয়া। যদিও মায়াবতীর মুলুকে `অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর`-এর ফসল কোন দল ঘরে তুলবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বহুজন সমাজ পার্টির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই ৯ জেলার আজকের ভোট তাই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।