উত্তরপ্রদেশ কার? চূড়ান্ত রায় আজ
ছ`পর্যায়ের ভোটের পর লখনউয়ের মসনদে পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এরই মধ্যে শনিবার সকাল থেকে শুরু হল উত্তরপ্রদেশের ১০ জেলার সপ্তম তথা অন্তিম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব।
ছ`পর্যায়ের ভোটের পর লখনউয়ের মসনদে পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এরই মধ্যে শনিবার সকাল থেকে শুরু হল উত্তরপ্রদেশের ১০ জেলার সপ্তম তথা অন্তিম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। পশ্চিম ও তরাই উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর, মোরাদাবাদ, ভীমনগর, রামপুর, জয়োতিবা ফুলে নগর, বদায়ুঁ, বরেলি, পিলভিট, সাজাহানপুর এবং লখিমপুর-খেরি জেলার ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হচ্ছে এই পর্যায়ে। অন্তিম দফার ভোটপর্বে ১৮,৯৫৭টি বুথে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন প্রায় ১ কোটি ৮২ লক্ষ ভোটদাতা। মোট প্রার্থী ৯৬২ জন। এঁদর মধ্যে ৯৫ জনের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, দাঙ্গা-সহ বিভিন্ন গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
নব্বইয়ের দশকে এই অঞ্চলে বিজেপি`র জনসমর্থন যথেষ্ট মজবুত ছিল। তবে ২০০৭ সালের বিধানসভা ভোটে এই অঞ্চলে চমকপ্রদ সাফল্য পেয়েছিল মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি। সে বার ডি-লিমিটেশনের আগে এই ১০ জেলার ৫৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি`তে জিতেছিল মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি। মুলায়ম সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টির ভাঁড়ারে এসেছিল ১৭টি। বিজেপি ৯, কংগ্রেস ২ এবং বাহুবলী নেতা ডি পি যাদবের রাষ্ট্রীয় পরিবর্তন দলের প্রার্থীরা ২টি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন। এবারও সাসওয়ান আসন থেকে ভোটে লড়ছেন প্রাক্তন মন্ত্রী ডি পি যাদব, সমাজবাদী পার্টির হেভিওয়েট নেতা আজম খান (রামপুর), এবং মায়াবতী ক্যাবিনেটের প্রভাবশালী সদস্য ওমভতি (নাগিনা)-র নামও রয়েছে প্রার্থী তালিকায়। আগামী ৬ মার্চ রাজ্যের ৪০৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের গণনা। আর তারপরই জানা যাবে লখনউ-এর কুরসির ভাগ্য।