ভোটগ্রহণ শেষ গোয়ায়, ভোট পড়েছে ৮১ শতাংশ

গোয়ায় শেষ হল ভোটগ্রহণ পর্ব। একদিনেই হয়ে গেল ৪০টি বিধানসভা আসনের ভোটগ্রহণ। ভোট পড়েছে ৮১ শতাংশ। এর আগে ১৯৮৯ সালে রাজ্যে সব থেকে বেশি ভোট পড়েছিল ৭২.৫ শতাংশ।

Updated By: Mar 2, 2012, 07:34 PM IST

গোয়ায় শেষ হল ভোটগ্রহণ পর্ব। একদিনেই হয়ে গেল ৪০টি বিধানসভা আসনের ভোটগ্রহণ। ভোট পড়েছে ৮১ শতাংশ। এর আগে ১৯৮৯ সালে রাজ্যে সব থেকে বেশি ভোট পড়েছিল ৭২.৫ শতাংশ। 
গোয়ায় শাসক কংগ্রেস-এনসিপি জোটের সঙ্গে মূল লড়াই বি জে পি-মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক হলের জোটের। ক্ষমতার প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে প্রবল আশাবাদী কংগ্রেস। বিজেপি শিবির নিশ্চিত, এবার কোঙ্কন উপকূলের ক্ষুদ্রতম রাজ্যে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। যুযুধান দুই শিবিরের এই তুমুল চাপান-উতোরের মধ্যেই শনিবার সকাল থেকে গোয়া বিধানসভার ৪০টি কেন্দ্রে ২১৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণের গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালন শুরু করলেন ১০ লক্ষ ২৫ হাজার ভোটদাতা। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাথ (মারগাঁও), রাজ্য বিজেপি`র প্রধান তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিকর এবং রাজ্য বিধানসভার স্পিকার প্রতাপ সিং রানে (পারিনেম)। তাত্‍পর্যপূর্ণ এবারের বিধানসভা ভোটে কোনও মহিলাকে প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই দেয়নি ৩৩ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণের সমর্থক বিজেপি।
২০০৭ সালের বিধানসভা ভোটে এনসিপি এবং মহারাষ্ট্রওয়াড়ি গোমন্তক পার্টি (এমজিপি)-র সঙ্গে জোট বেঁধে গোয়ায় সরকার গঠন করেছিল কংগ্রেস। রাজ্যের ৪০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে এককভাবে ১৫টি`তে জিতেছিল সোনিয়া গান্ধীর দল। জোটসঙ্গী এনসিপি এবং এমজিপি`র প্রার্থীরা ৩ এবং ২টি কেন্দ্রে। প্রধান বিরোধী দল বিজেপি পেয়েছিল ১৪টি আসন। অন্যান্যদের মধ্যে চার্চিল অ্যালেমাওয়ের নেতৃত্বাধীন সেভ গোয়া ফ্রন্ট (এসজিএফ) ২, ইউনাইটেড গোয়া ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউজিডিপি) ১ এবং নির্দল প্রার্থীরা ২টি আসনে জয়ী হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে সেভ গোয়া ফ্রন্ট এবং ২ নির্দল বিধায়ক- অনিল সালগাঁওকর এবং প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা বিধানসভার স্পিকার প্রতাপ সিং রানের ছেলে বিশ্বজিত্‍ রানে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় স্বস্তিদায়ক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় দিগম্বর কামাথ সরকার।

এবার কিন্তু কংগ্রেসের লড়াই অনেকটাই কঠিন। ইতিমধ্যেই সরকার ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে দীপক ধাভালিকরের নেতৃত্বাধীন এমজিপি। নীতিন গডকড়ির দল এমজিপি`কে ৮ এবং নির্দল প্রার্থীর জন্য ১টি আসন ছেড়ে ৩১ কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে। ফলে উচ্চবণের্র কোঙ্কনি-হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক এবার পুরোপুরি গেরুয়া শিবিরের হস্তগত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবারের ভোটে জোট গড়ে কংগ্রেস ৩৩ এবং এনসিপি ৭ আসনে লড়ছে। তা ছাড়া ভোটের আগে রাজ্য এনসিপি`র দুই প্রভাবশালী নেতা উইলফ্রেড ডি সুজা এবং মিকি পাচেকো দল ছাড়ায় কার্যত অস্তিত্ব-সঙ্কটে পড়েছে শরদ পাওয়ারের দল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উইলফ্রেড ডি সুজার নেতৃত্বে এবারই প্রথম গোয়া বিধানসভার ভোটে লড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল প্রার্থী দিয়েছে ২০টি কেন্দ্রে। অন্যদিকে গোয়া বিকাশ পার্টি গড়ে জনতার দরবারে ভাগ্যপরীক্ষায় নেমেছেন একটি খুনের মামলার জেরে মন্ত্রিত্ব হারানো বিতর্কিত নেতা মিকি পাচেকো।
গত মাসেই মুম্বই পুরসভার ভোটে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেস-এনসিপি জোটের। এই পরিস্থিতিতে শরদ পাওয়ারের দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ক্ষমতা ধরে রাখাই ২৪ নম্বর আকবর রোডের নীতি নির্ধারকদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

.