রাজনীতি করতে হলে 'রাজনীতিপাল' হোন, সংসদে রাজ্যপালকে কটাক্ষ তৃণমূলের

 বলেন, 'বেশ কয়েকটি রাজ্যে রাজ্যপালকে কেন্দ্রের এজেন্ট বলছে সাধারণ মানুষ। রাজ্যপাল একটি একটি অরাজনৈতিক পদ। কিন্তু সেই পদকে কেউ কেউ রাজনীতি করার জন্য ব্যবহার করছেন। নিজের কর্মসূচি সম্পর্কে রাজ্য সরকারকে জানানোর প্রয়োজন মনে করছেন না অনেকে। 

Updated By: Nov 18, 2019, 03:50 PM IST
রাজনীতি করতে হলে 'রাজনীতিপাল' হোন, সংসদে রাজ্যপালকে কটাক্ষ তৃণমূলের

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যপালের ভূমিকার সমালোচনা করে এবার সংসদের ভিতরে সরব হল তৃণমূল। সোমবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভায় রাজ্যপালের গতিবিধিতে সাংবিধানিক অঙ্কুশ পরানোর দাবি তোলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। একই সঙ্গে এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় আলোচনার দাবি জানিয়েও অনুমতি মেলেনি বলেন অভিযোগ করেন তিনি। 

 

সোমবার শুরু হয়েছে চলতি লোকসভার প্রথম শীতকালীন অধিবেশন। একই সঙ্গে ভারতীয় সংসদের এটি ২৫০তম অধিবেশন। এই উপলক্ষে এদিন সংসদে সব রকম আলোচনার জন্য সরকার প্রস্তুত বলে বিরোধীদের বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে তাতে যে চিঁড়ে ভেজেনি তা এদিন বুঝিয়ে দেন সুখেন্দু শেখর রায়। 

এদিন রাজ্যসভায় সুখেন্দুশেখর বলেন, 'আমরা বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা চেয়ে আবেদন জানালেও অনুমতি পাইনি। আমি নিজে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে আলোচনার জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সুযোগ মেলেনি।'  এর পরই নাম না করে রাজ্যপালের গতিবিধি নিয়ে সরব হন তিনি। বলেন, 'বেশ কয়েকটি রাজ্যে রাজ্যপালকে কেন্দ্রের এজেন্ট বলছে সাধারণ মানুষ। রাজ্যপাল একটি একটি অরাজনৈতিক পদ। কিন্তু সেই পদকে কেউ কেউ রাজনীতি করার জন্য ব্যবহার করছেন। নিজের কর্মসূচি সম্পর্কে রাজ্য সরকারকে জানানোর প্রয়োজন মনে করছেন না অনেকে। কারও রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকলে তিনি রাজনীতিপাল হোন, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু রাজ্যপাল হয়েছেন কেন?' রাজ্যপালের গতিবিধির ওপর কী করে সাংবিধানিক বিধিনিষেধ আরোপ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

হট্টগোল নয়, বিতর্ক হোক, সংসদের ২৫০তম অধিবেশনে রাজ্যসভায় বললেন মোদী

বলে রাখি, রাজ্যপাল হিসাবে জগদীপ ধনখড় এরাজ্যে আসার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। শাসকদল তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্যে সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল। পালটা রাজ্য সরকারকে লক্ষ্মণরেখা স্মরণ করিয়েছেন রাজ্যপাল। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে রাজ্যপালের সফরের জন্য হেলিকপ্টার দিতে অস্বীকার করেছে রাজ্য। শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগেই তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছিল, এই প্রসঙ্গ সংসদে উত্থাপন করবে তারা। অধিবেশনের প্রথম দিনে প্রথম বক্তা হিসাবে সেই দায়িত্বই পালন করলেন সুখেন্দুশেখর। 

.