সুরেশ প্রভুর প্রথম রেল বাজেট: রয়েছে চ্যালেঞ্জ সঙ্গী গভীর প্রত্যাশা
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লোকসভায় পেশ হবে এই বছরের রেল বাজেট। রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর প্রথম রেল বাজেটে মোদী সরকারের মর্জি অনুযায়ী সংস্কারের ইঙ্গিত কিন্তু স্পষ্ট।
নয়া দিল্লি: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লোকসভায় পেশ হবে এই বছরের রেল বাজেট। রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর প্রথম রেল বাজেটে মোদী সরকারের মর্জি অনুযায়ী সংস্কারের ইঙ্গিত কিন্তু স্পষ্ট।
বাজেট পেশের আগে রেলমন্ত্রী বলেছেন ''এই পথ দীর্ঘ। প্রথম বছরেই সব কিছু সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। সঠিক দিশায় আমাদের কাজটা শুরু করে ফেলতে হবে। কলকাতা যেতে গিয়ে আমরাতো আর চেন্নাইগামী কোনও ট্রেনে উঠে বসতে পারি না।''
তবে রেলমন্ত্রীর কাছে কিছু এখন চ্যালেঞ্জ অনেক কিছুই। এই মুহূর্তে রেল তহবিলের দশা বেহাল। প্রতি ১ টাকা উপার্জন থেকে রেলের ভাঁড়ারে সঞ্চিত হয় মাত্র ৬ পয়সা। ফলে পরিকাঠামো উন্নয়ন এই মুহূর্তে বিশ বাঁও জলে। এই বাজেটে যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির মাধ্যমে উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা এক কথায় খারিজ করে দিয়েছেন রেলমন্ত্রীর ডেপুটি।
যাত্রী ভাড়া বাবদ রেলওয়ের ক্ষতি হয়েছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। পণ্যমাসুল বাড়িয়েও যা ভর্তুকির সীমা অতিক্রম করে গেছে।
সারা বিশ্বের মধ্যে ভারতে পণ্য মাসুলের পরিমাণ সর্বাধিক। যার ফলে পণ্য সরবারহের জন্য বাজার হারাচ্ছে ভারতীয় রেল।
রেল স্বাচ্ছ্যন্দ বৃদ্ধি, নয়া পরিকাঠামো গঠন ও পুরনো প্রকল্পগুলি সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল গঠনই প্রভুর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
নয়া রেল বাজেটের কাছে প্রত্যাশাও প্রচুর। প্রভু জানিয়েছেন আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে রেলের প্রয়োজন ৬ লক্ষ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় বাজেটে রেল বরাদ্দ হতে পারে ৫০ হাজার কোটি টাকা। এফডিআই নাকি সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগের যৌথ অংশগ্রহণ, কিসের মাধ্যমে বাকি টাকা উঠে আসবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এর আগে রেল ব্যবস্থায় বেসরকারি বিনিয়োগের প্রচেষ্টা কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে রেলে আরও বেশি দেশী বিদেশী বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে আমলাতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে রেলমন্ত্রীকে।
রেলে বেসরকারি বিনিয়োগের পথ সুগম করার জন্য সওয়াল করেছেন অনেকে।
রেলের জন্য শুল্ক নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ গঠনের ঘোষণারও আশা করা হচ্ছে। যার ফলে নির্দিষ্ট করা যাবে যাত্রী ভাড়া ও পণ্যমাসুল। যার ফলে কমতে পাড়ে ভর্তুকি ছাপিয়ে যাওয়া ক্ষতির পরিমাণ।
বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে নির্দিষ্ট রোডম্যাপের আশা করা হচ্ছে প্রভুর কাছ থেকে। আশা থাকতে নির্দিষ্ট পণ্য করিডরেরও।
বিনিয়োগের উপার্জন বাড়াতে আস্ত একটা ট্রেনের নামই কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা কোম্পানির নামে করে দেওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল।