যুবরাজের রাজ্যাভিষেক এখন সময়ের অপেক্ষা, এই বছরেই কংগ্রেসের সভাপতি হচ্ছেন রাহুল
'ছুটি' কাটিয়ে দলে ফিরলেই সম্ভবত রাজ্যাভিষেক হতে চলেছে কংগ্রেসের যুবরাজের। 'মা' কে সরিয়ে 'ছেলে'কে সভাপতি করার পথেই হাঁটছে কংগ্রেসের থিঙ্কট্যাঙ্ক। সেপ্টেম্বরেই শেষ হচ্ছে সোনিয়া গান্ধীর কংগ্রেস সভানেত্রী পদের সময়সীমা। তারপরেই হয়ত কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্টের মাথায় উঠতে চলেছে প্রেসিডেন্টের মুকুট।
নয়া দিল্লি: 'ছুটি' কাটিয়ে দলে ফিরলেই সম্ভবত রাজ্যাভিষেক হতে চলেছে কংগ্রেসের যুবরাজের। 'মা' কে সরিয়ে 'ছেলে'কে সভাপতি করার পথেই হাঁটছে কংগ্রেসের থিঙ্কট্যাঙ্ক। সেপ্টেম্বরেই শেষ হচ্ছে সোনিয়া গান্ধীর কংগ্রেস সভানেত্রী পদের সময়সীমা। তারপরেই হয়ত কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্টের মাথায় উঠতে চলেছে প্রেসিডেন্টের মুকুট।
যদিও এই বছর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এআইসিসি-র বৈঠকেই দলীয় প্রেসিডেন্ট পদে রাহুলের নাম ঘোষণা হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। যদিও দলীয় সূত্রে খবর, এ বছরেরই পার্টি প্রেসিডেন্টের পদ পেতে চলেছেন রাহুল।
সীতারাম কেশরীর পর ১৯৯৮ সাল থেকে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী। প্রসঙ্গত, এত দীর্ঘদিন ধরে আর কেউই এই পদ দখল করে থাকেননি।
১৯৯৯ সালে এনডিএ-এর কাছে পরাজিত হওয়ার পর ২০০৪ সালে কেন্দ্রে ইউপিএ সরকার ঘঠনে সোনিয়ার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে জয়পুরের চিন্তন শিবির থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক থেকে সহ সভাপতির পদে উন্নীত হন রাহুল গান্ধী। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে সামনে রেখেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল কংগ্রেস। যদিও, তার ফলাফল কিন্তু ভাল হয়নি। মোদী ঝড়ের কাছে উড়ে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের যুবরাজ।
রাহুল কংগ্রেসের সহ সভাপতি হওয়ার পর থেকেই কংগ্রেসের সাফল্যের গ্রাম লক্ষ্যণীয়ভাবে নিন্মগামী। তবে, তাতেও বোধহয় আটকাচ্ছে না তাঁর দলীয় প্রেসিডেন্ট হওয়া। কংগ্রেসের 'ঐতিহ্য' মেনেই দলের ফার্স্ট ফ্যামিলির বর্তমান প্রজন্মের মুখ স্বাভাবিকভাবেই দখল করে নিতে চলেছেন প্রেসিডেন্ট পদ।
জল্পনা যাই থাকুক না কেন এখনও এই নিয়ে জন সমক্ষে মুখে খুলতে নারাজ কংগ্রেসের নেতারা। ''এক-দু'দিন অপেক্ষা করুন। এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে কোনও সম্ভাবনাই আমি উড়িয়ে দিচ্ছি না। শেষ সিদ্ধান্ত কিছু একটা তো নিতেই হবে।'' জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা।
সূত্রে খবর, দলে তাঁর কিছু সিদ্ধান্তের মান্যতা হচ্ছে না, তাই হঠাৎ করেই ছুটিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোনিয়া পুত্র। তাঁর ঘনিষ্ট সূত্র দাবি করেছেন তিনি নাকি দলে ইচ্ছামত কাজ করতে পারছেন না।
দলের কর্মপদ্ধতি বা স্ট্র্যাকচার নিয়ে রাহুল বহুবার কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতাদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছেন।
কয়েকমাস আগে কংগ্রেসের ইতিহাসে প্রথমবার রাহুল পন্থী কংগ্রেসের কয়েকজন এই প্রজন্মের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ্যে রাহুলকে নিয়ে বর্ষীয়ান কিছু নেতাদের মন্তব্যের বিরোধীতা করেছিলেন। যা থেকে কংগ্রেসের অন্দরে 'ছোট'-'বড়' দের কোন্দল স্পষ্ট হয়ে ওঠে।