মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছেন নিগৃহীতা, প্রার্থনায় সারা দেশ
দিল্লির চলন্ত বাসে গণধর্ষণে শিকার হওয়া তরুণীর শারীরিক অবস্থা ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। বুধবার সফদরজং হাসপাতালে তাঁর আরও একটি অস্ত্রোপচার করা হয়। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, চিকিতসকরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়া যাচ্ছেন। দেশ জুড়ে চলছে প্রার্থণাও।
দিল্লির চলন্ত বাসে গণধর্ষণে শিকার হওয়া তরুণীর শারীরিক অবস্থা ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। বুধবার সফদরজং হাসপাতালে তাঁর আরও একটি অস্ত্রোপচার করা হয়। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, চিকিতসকরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়া যাচ্ছেন। দেশ জুড়ে চলছে প্রার্থণাও।
সফদরজং হাসপাতালে তাঁকে সর্বক্ষণের জন্য ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন তরুণীর তলপেট ও অন্ত্রে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। তাঁর মাথার আঘাতও গুরুতর। জ্ঞান থাকলেও রক্তে প্লেটলেট কাউন্ট কমছে ক্রমাগত। মঙ্গলবার সকালে তাঁর অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলেও সন্ধে থেকে আবারও অবনতি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসারত ডাক্তাররা। হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ডাক্তার বি ডি আথানি সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন তরুণীর অবস্থা সঙ্কটজনক এবং অবনতি ঘটেছে। তিনি বলেন, "সকালে অবস্থার উন্নতি হলেও সন্ধে গড়াতেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।"
ইতিমধ্যেই তাঁর শরীরে একাধিক অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তবে আরও একাধিক অস্ত্রোপচার প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন ডাক্তাররা। তবে তাঁরা এও জানিয়েছেন তরুণীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত আর অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয়। তরুণীর অন্ত্রাশয় বিভৎস ভাবে যখম হয়েছে। সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। তলপেটে ও যৌনাঙ্গের আঘাত `অত্যন্ত গুরুতর`। এখনও কথা বলতে পারছেন না তিনি। ডাক্তারদের প্রশ্নের উত্তর লিখে জানাচ্ছেন।
গণধর্ষণের ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। সংসদে একবাক্যে এর বিরুদ্ধে সোচ্চায় হয় সব রাজনৈতিক দল। সংসদের বাইরেও সরব হন সাধারণ মানুষ। গণধর্ষণে নিরাপত্তাহীনতার আতঙ্ক ছড়িয়েছে সমাজের সর্বস্তরেই।