৪০০ টাকা জোগাড় হয়নি; বাবার দেহ ভ্যানে টেনেই নিয়ে চললেন ছেলে!

একটি ছবি! আর অন্যদিকে 'স্বচ্ছ ভারত অভিযান,' 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া' বা মেক ইন ইন্ডিয়ার মতো স্লোগান। কোথাও যেন সেই ছবিটির কাছে ফিকে হয়ে যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই স্বপ্নগুলো। গোটা দেশ আজ দেখল ভারতের মাটিতে সেই ছবি। ফের উস্কে উঠল ওড়িশার দানা মাঝির স্মৃতি। তবুও বার বারই 'ওরা' নিরুপায়।

Updated By: May 13, 2017, 05:07 PM IST
৪০০ টাকা জোগাড় হয়নি; বাবার দেহ ভ্যানে টেনেই নিয়ে চললেন ছেলে!

ওয়েব ডেস্ক : একটি ছবি! আর অন্যদিকে 'স্বচ্ছ ভারত অভিযান,' 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া' বা মেক ইন ইন্ডিয়ার মতো স্লোগান। কোথাও যেন সেই ছবিটির কাছে ফিকে হয়ে যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই স্বপ্নগুলো। গোটা দেশ আজ দেখল ভারতের মাটিতে সেই ছবি। ফের উস্কে উঠল ওড়িশার দানা মাঝির স্মৃতি। তবুও বার বারই 'ওরা' নিরুপায়।

ছবিটি কী?

পঞ্জাবের জলন্ধর এলাকা। বার্ধক্যজনিত কারণে গত রবিবার সরবজিত্‍ সিংকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর ছেলে ও পরিবারের সদস্যরা। কয়েকদিন সেখানে চিকিত্‍সা চলার পর মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর দু'ঘণ্টা পর সরবজিতের দেহ হাসপাতালের পক্ষ থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। বাবার দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্সের খোঁজ করেন সরবজিতের ছেলে। হাপপাতালের পক্ষ থেকে উত্তর মেলে, ''মৃতদেহ বহনের জন্য আমাদের সেই ব্যবস্থা নেই!''

আরও পড়ুন- অসুস্থ ছেলেকে খাটিয়ায় বেঁধে নদী পেরোলেন অসহায় বাবা

অগত্যা প্রাইভেট পার্টিকে ফোন। ৪০০ টাকা ভাড়া দিলে তবেই যাব উত্তর মেলে তাদের পক্ষ থেকে। কিন্তু, সাধারণ শ্রমিকের কাজ করা সরবজিতের ছেলের পক্ষে সেই টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই একটি টানা ভ্যানে 'বাবার দেহ' নিয়েই বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন ছেলে।

খবর সামনে আসতেই সেখানে হাজির মিডিয়া থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠের সদস্যরা। কেনও প্রশাসনিক স্তরে কোনও ব্যবস্থা মিলল না, তা নিয়ে চলল প্রশ্ন... হাসপাতাল সুপার থেকে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, সকলকেই প্রশ্ন করা হল। উত্তর মিলল একই। 'ব্যবস্থা নেই আমাদের!' আখেরে, কোনওভাবেই সমস্যা মিটল না সরবজিতের ছেলের। বাকি রাস্তাটাও টানা ভ্যানেই বাবাকে বাড়ি নিয়ে যেতে হল তাঁকে।

এই ঘটনাটি আজ নতুন নয়। এর আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা। সামনে এসেছে কয়েকবার। কিন্তু তারপরও কেনও বদলাচ্ছে না পরিস্থিতি? জবাব নেই কারও কাছেই।

আরও পড়ুন- গাড়ি মেলেনি, তাই স্ত্রী-র মৃতদেহ কাঁধে তুলে ৬০ কিমি পথ হেঁটে চলেছেন স্বামী

.