চলন্ত ট্রেনের বাতানুকূল প্রথম শ্রেণীর কামরায় ডাকাতির শিকার সস্ত্রীক মধ্যপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী
এ দেশে রেল যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। বদলেছে সরকার, রেল মন্ত্রীর পদে দেখা গেছে একের পর এক নতুন মুখকে। প্রত্যেকেই একই কায়দায় সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তব পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র বদল ঘটেনি। ভারতীয় রেলে ভ্রমণ যে কতটা নিরপত্তাহীনতায় আবৃত তা টের পেলেন খোদ এক মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার জবলপুর-নিজামুদ্দিন এক্সপ্রেসে সশস্ত্র ডাকাতদের খপ্পরে পড়লেন মধ্যপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী জয়ন্ত মালাইয়া ও তাঁর স্ত্রী।
নয়া দিল্লি: এ দেশে রেল যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। বদলেছে সরকার, রেল মন্ত্রীর পদে দেখা গেছে একের পর এক নতুন মুখকে। প্রত্যেকেই একই কায়দায় সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তব পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র বদল ঘটেনি। ভারতীয় রেলে ভ্রমণ যে কতটা নিরপত্তাহীনতায় আবৃত তা টের পেলেন খোদ এক মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার জবলপুর-নিজামুদ্দিন এক্সপ্রেসে সশস্ত্র ডাকাতদের খপ্পরে পড়লেন মধ্যপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী জয়ন্ত মালাইয়া ও তাঁর স্ত্রী।
মালাইয়া ও তাঁর স্ত্রী রীতিমত ফার্স্টক্লাস এসি কম্পার্টমেন্টে যাত্রা করছিলেন। মথুরার কোসি কালানে বন্দুকধারী ডাকাতরা জোর করে কম্পার্টমেন্টের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে এসে বন্দুক দেখিয়ে ব্যপক লুঠপাট চালায়। অনান্য যাত্রীদের সঙ্গে বাদ যাননি সস্ত্রীক মধ্যপ্রদেশের অর্থমন্ত্রীও।
ওই ডাকাত দলটি আরও একটি ট্রেনেও একই কায়দায় লুঠপাট চালিয়েছে।
রেলওয়ে মুখপাত্র জানিয়েছেন ওই কম্পার্টমেন্টের নিরাপত্তায় বহাল ৩ আরপএফ জওয়ানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
মালাইয়ার ও তাঁর স্ত্রীর থেকে নগদ ২০ থেকে ২২ হাজার টাকার সঙ্গে সোনার চেন ও সোনার আংটিও লুঠ করেছে ডাকাতরা।
জয়ন্ত মালাইয়ার স্ত্রী বিজেপি কর্মী সুধা মালাইয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন '' ডামোহ থেকে আমরা জবলপুর-নিজামুদ্দিন এক্সপ্রেসে উঠে ছিলাম। ভোর ৪টে নাগাদ আমাদের কুপের দরজায় ঠকঠক শব্দ শুনতে পাই। আমি দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে ঠেলে দিয়ে ছোরা হাতে এক ব্যক্তি কুপে ঢুকে পরে। তার পিছন পিছন আসে আরও ৪ জন।''
সুধাই জানিয়েছেন পাশের কুপগুলিতেও লুঠপাট চালানো হয়েছে।
সুধা জানিয়েছেন যাত্রীদের মধ্যে একজন কোনওরকমে চেন টানতে সফল হওয়ায়, ট্রেন থামে। কিন্তু আরপিএফ জওয়ানরা আসার আগেই চম্মট দেয় ডাকাত দলটি।
তিনি জানিয়েছেন রেকমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর সঙ্গে দেখা করে তাঁরা বিষয়টি জানাবেন।
হজরত নিজামুদ্দিন পুলিস স্টেশনে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন সুধা। মথুরার রেলওয়ে পুলিস তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে।