দিল্লির পুরভোটে ফের জয়ী বিজেপি
ঠিক এক বছর আগে শক্তিশালী জনলোকপাল বিলের দাবিতে আন্না হাজারের অনশন কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক দিল্লিবাসীর স্বতস্ফূর্ত যোগদানই বুঝিয়ে দিয়েছিল জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব হারাচ্ছে কংগ্রেস। দিল্লি নগর নিগম-এর অন্তর্গত নবগঠিত তিন পুরসভার দখল ধরে রেখে ফের সেই রাজনৈতিক সমীকরণটাই ফের একবার স্পষ্ট করে দিল বিজেপি।
ঠিক এক বছর আগে শক্তিশালী জনলোকপাল বিলের দাবিতে আন্না হাজারের অনশন কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক দিল্লিবাসীর স্বতস্ফূর্ত যোগদানই বুঝিয়ে দিয়েছিল জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব হারাচ্ছে কংগ্রেস। দিল্লি নগর নিগম-এর অন্তর্গত নবগঠিত তিন পুরসভার দখল ধরে রেখে ফের সেই রাজনৈতিক সমীকরণটাই ফের একবার স্পষ্ট করে দিল বিজেপি।
২০০৭ সালে অবিভক্ত 'দিল্লি নগর নিগম' (এমসিডি)-এর নির্বাচনে ২৭২টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৬৪ এবং কংগ্রেস ৬৭টি আসনে জিতেছিল। এছাড়া বহুজন সমাজ পার্টি ১৭, নির্দল ১৫ এবং অন্যান্য দলের প্রার্থীরা ৯টি ওয়ার্ডে জিতেছিলেন। এবার দিল্লি দখলে মরিয়া কংগ্রেস হাইকম্যান্ড রীতিমত আটঘাট বেধে এগিয়েছিল। এমসিডি'কে ভেঙে উত্তর দিল্লি, দক্ষিণ দিল্লি এবং পূর্ব দিল্লি নামে তিনটি পৃথক পুরসভা গড়ার জন্য রাজ্য বিধানসভায় বিল পাশ করায় শীলা দিক্ষিত সরকার। কিন্তু তাতে যে কাজের কাজ কিছু হয়নি, ভোটের ফলাফলে তা দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। বিধানসভা ভোটের ১৮ মাস আগে দিল্লির ৩টি পুরসভা নির্বাচনের ফল নিশ্চিত ভাবেই বিড়ম্বনা বাড়াল কংগ্রেসের।
উত্তর দিল্লির ১০৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি ৬০, কংগ্রেস ২৮, বিএসপি ৪ এবং নির্দল ও অন্যান্যরা ১২টি পেয়েছে। দক্ষিণ দিল্লিতে এই অঙ্ক দাঁড়াচ্ছে ৪৩, ২৯, ৭ এবং ২৫-এ। মুখ্যমন্ত্রী শীলা দিক্ষিত এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জয়প্রকাশ আগরওয়ালের খাসতালুক হিসেবে পরিচিত পূর্ব দিল্লিতেও সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। ৬৪টি আসনের মধ্যে 'কমল কা নিশান'-এর ভাগ্যে জুটছে ৩৫টি। কংগ্রেস ১৮, বিএসপি ৩ এবং নির্দল ও অন্যান্যরা ৮টি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে। কংগ্রেস ও বিজেপি-ছুট বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের পাশাপাশি এবারের ভোটে এনসিপি, সমাজবাদী পার্টি, শিরোমনি অকালি দলের প্রার্থীরা চমকপ্রদ ফল করেছেন। সামগ্রিকভাবে দিল্লির তিনটি পুরসভার মোট ২৭২টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৩৮, কংগ্রেস ৭৫, বিএসপি ১৪ এবং নির্দল ও অন্যান্যরা ৪৫টিতে জয়ী হয়েছে।
গত ১৫ এপ্রিল উত্তর দিল্লি ও দক্ষিণ দিল্লির ১০৪টি করে এবং পূর্ব দিল্লির ৬৪টি ওয়ার্ডে নির্বাচন হয়েছিল। ১ কোটি ১৫ লক্ষ ভোটদাতার মধ্যে প্রায় ৫৬ শতাংশ নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে ২,৪২৩ জন প্রার্থীর নির্বাচনী ভাগ্য নিশ্চিত করেছিলেন। শুধু দিল্লিকে ভেঙে ৩টি নতুন পুরসভা গঠনই নয়, এবারই প্রথম ৫০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রাখার আইন কার্যকর করেছিল শীলা দিক্ষিতের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার। কিন্তু মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনগুলির সিংহভাগই দখল করছে বিজেপি।