লীলা স্যামসনের পথে হেঁটে সেন্সরবোর্ডে পদত্যাগের হিড়িক
সেন্সর বোর্ডে এখন পদত্যাগের হিড়িক। শুক্রবার, অযাচিত হস্তক্ষেপ ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছিলেন বোর্ড প্রধান লীলা স্যামসন। একই পথে হেঁটে এখনও পর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন ১৩ সেন্সর বোর্ড সদস্য।
ওয়েব ডেস্ক: সেন্সর বোর্ডে এখন পদত্যাগের হিড়িক। শুক্রবার, অযাচিত হস্তক্ষেপ ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছিলেন বোর্ড প্রধান লীলা স্যামসন। একই পথে হেঁটে এখনও পর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন ১৩ সেন্সর বোর্ড সদস্য।
বিতর্কের শুরু স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের সিনেমা ''এমএসজি, মেসেঞ্জার অফ গড' ফিল্ম সার্টিফিকেশন অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালের (FCAT) কাছ থেকে শুক্রবার মুক্তির জন্য সবুজ সিগন্যাল পাওয়ার পর। সেন্সরবোর্ড আগেই এই ছবির মুক্তির বিষয়টি FCAT-এর উপর ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
সেন্টার বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনের সদস্য পরিচালক শাজি এন করুন সেন্সর বোর্ডের বডির কর্মপদ্ধতির প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে পদত্যাগ করেছেন। করুন জানিয়েছেন, তাঁর পদত্যাগের কারণ শুধুমাত্র বিতর্কিত ছবি ''মেসেঞ্জার অফ গড''-এর মুক্তি নয়, বরং সামগ্রিকভাবে সিবিএফসি ''সংসদীয় ও সাংগঠনিক'' ব্যর্থতা।
করুন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ''আমি আমার পদত্যাগপত্র চেয়ারপার্সেনকে মেল করে দিয়েছি। যখন, চেয়ারপার্সেনই সরে দাঁড়িয়েছেন তখন তাঁর অধীনে যাঁরা এক সঙ্গে কাজ করতেন তাঁদের পদত্যাগ করাটাই স্বাভাবিক। আমার কাছে খবর এখনও পর্যন্ত ১৪জন সিবিএফসি সদস্য তাঁদের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন।''
'এমএসজি'-এর মুক্তিকে সিবিএফসি-এর উপহাস বলে ব্যাখা করেছিলেন লীলা স্যামসন। যদিও, পরে তিনি জানিয়েছেন 'এমএসজি' তাঁর পদত্যাগের কারণ নয়।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর জানিয়েছেন পদত্যাগের সিদ্ধান্ত স্যামসনের একান্ত ব্যক্তিগত। এখানে সরকারের জুলুমবাজির কোনও প্রশ্নই নেই।
প্রাথমিকভাবে ''এমসিজি''কে ছাড়পত্র দিতে চায়নি সেন্সরবোর্ডের এক্সামিনিং কমিটি। তারপরেই এই সিনেমা নিয়ে সিদ্ধান্তের বিষয়টি FCAT-এর উপর ছেড়ে দেওয়া হয়।