লাদাখকে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে মানি না, সীমান্ত উত্তেজনায় নতুন মাত্র যোগ চিনের

চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিন মন্তব্য করেছেন, বেআইনি ভাবে লাদাখ-কে নিজেদের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করেছে ভারত

Edited By: সিকান্দর আবু জ়াফর | Updated By: Sep 29, 2020, 06:36 PM IST
লাদাখকে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে মানি না, সীমান্ত উত্তেজনায় নতুন মাত্র যোগ চিনের
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন: পূর্ব লাদাখে শান্তি বজায় রাখার কথা বললেও এতদিনে ঝুলি থেকে বেড়াল বের করল চিন। এতদিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ঠিক নেই বলে সুর চড়াচ্ছিল বেজিং। এবার লাদাখ যে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তা মানতেই অস্বীকার করল চিন।

আরও পড়ুন-বুধবার বাবরি ধ্বংস মামলার রায়, নির্দেশ সত্ত্বেও আদালতে নাও যেতে পারেন আডবানি-যোশীরা

চিনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস-এ দেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিন মন্তব্য করেছেন, বেআইনি ভাবে লাদাখ-কে নিজেদের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করেছে ভারত। চিন তা মানে না। এছাড়াও এই বিতর্কিত এলাকায় ভারত যে নির্মাণকাজ করছে তারও বিরোধিতা করছে চিন। প্রশ্ন হল, লাদাখ তাহলে কার! ষাটের দশকের এক লড়াইয়ে লাদাখের একাংশ চিনের হাতে তুলে দিয়েছে পাকিস্তান। এখন গোটা লাদাখের ওপরেই নজর পড়ছে লাল ফৌজের।

উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন গালওয়ানকে ঘিরে গোলমালের সময়ে একটু একটু করে ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে এগিয়ে আসার চেষ্টা করছিল চিনা সেনা। তা বাধা দিতে গেলে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটে যায়। চিনা সেনার সঙ্গে হাতাহাতি সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ ভারতীয় জওয়ান। শুধু তাই নয়, গালওয়ান উপত্যকায় নির্মাণও শুরু করে দিয়েছিল চিনা সেনা।

আরও পড়ুন-১ অক্টোবর থেকে শুরু পরীক্ষা, ইন্টারনেট নিয়ে এখনও চিন্তায় প্রত্যন্ত এলাকার পরীক্ষার্থীরা

চিনা মুখপাত্র ওয়াং আরও বলেন, 'দুদেশের মধ্যে এখনও পর্যন্ত যে সমঝোতা হয়েছে তাতে ভারত ও চিন কেউই সীমান্ত এলাকায় কোনও সেনা তত্পরতা করবে না।'  চিন মুখে ওই কথা বললেও প্য়াংগংয়ে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে চিন। পাল্ট ব্যবস্থা করেছে ভারতও। প্যাংগংয়ের দক্ষিণে একাধিক শিখরে ঘাঁটি গেড়েছে ভারতীয় সেনা।

মঙ্গলবারই বায়ুসেনা প্রধান এক অনুষ্টানে মন্তব্য করেছেন, দেশের উত্তর সীমান্তে যুদ্ধও হচ্ছে না আবার শান্তিও নেই। এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বায়ুসেনার প্রধানের ওই মন্তব্যের পর চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের ওই বক্তব্যে বোঝাই যায় আরও বড়সড় পরিকল্পনা রয়েছে চিনের।

.