বুধবার বাবরি ধ্বংস মামলার রায়, নির্দেশ সত্ত্বেও আদালতে নাও যেতে পারেন আডবানি-যোশীরা
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর করসেবা করতে এসে অযোধ্যায় পনের শতকের প্রাচীন ওই মসজিদটিকে ভেঙে ফেলে করসেবকরা। অভিযোগ ওঠে লালকৃষ্ণ আডবানি, মুরলী মনোহর যোশী-সহ তিন বিজেপি নেতার নেতৃত্বেই উত্তেজিত করা হয়েছিল করসেবকদের
নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবার বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় দেবে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। প্রায় তিন দশক পুরনো ওই মামলায় রায়দানের সময়ে অভিযুক্ত ৩২ জনকেই আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক এস কে যাদব।
আরও পড়ুন- 'চাকরি বা সরকারি সাহায্য না পেলে মাওবাদীদের দেখানো রাস্তাতেই হাঁটব!' অস্বস্তি বাড়াচ্ছে জঙ্গলমহল
বাবরি ধ্বংস মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন বিজেপির একঝাঁক নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তালিকায় রয়েছেন এল কে আডবানি, মুরলী মনোহর যোশী, উমা ভারতী, কল্যাণ সিং, সতীশ প্রধানের নেতা। তবে আদালত নির্দেশ দিলেও আডবানি, যোশী ও উমা ভারতী আদালতে নাও যেতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর ওই মামলার শুনানি শেষ হয়। বেশকিছু সাক্ষ্য ভিডিয়ো কন্ফারেন্সের মাধ্যমেও নেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত বাবরি ধ্বংস মামলায় ৩৫১ জনকে সাক্ষী করেছে সিবিআই। ৬০০ নথি জমা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৪৮ জনের বিরুদ্ধে মসজিদ ধ্বংসে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিবিআইয়ের মূল অভিযোগ, করসেবকদের সেদিন উস্কানি দিয়েছিলেন ওইসব নেতারা।
আরও পড়ুন-১ অক্টোবর থেকে শুরু পরীক্ষা, ইন্টারনেট নিয়ে এখনও চিন্তায় প্রত্যন্ত এলাকার পরীক্ষার্থীরা
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর করসেবা করতে এসে অযোধ্যায় পনের শতকের প্রাচীন ওই মসজিদটিকে ভেঙে ফেলে করসেবকরা। অভিযোগ ওঠে লালকৃষ্ণ আডবানি, মুরলী মনোহর যোশী-সহ তিন বিজেপি নেতার নেতৃত্বেই উত্তেজিত করা হয়েছিল করসেবকদের। শেষপর্যন্ত তারাই ভেঙে ফেলে মসজিদ। তবে মসজিদ ভাঙায় তাঁদের হাত থাকার কথা অস্বীকার করেন যোশী ও আদবানি। উমা ভারতী অবশ্য অন্য কথা বলেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি তিনি বলেন, রায় যাই হোক তাতে কিছু এসে যায় না। যদি ফাঁসি তাহলে তা আমার সৌভাগ্য।