Oxford To Open India Campus: দেশে বসেই বিদেশে পাঠ! এবার ইয়েল স্ট্যানফোর্ড অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ভারতেই...
The University Grants Commission:আইন করে যেটা হতে চলেছে তার জেরে এইসব বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা বিদেশি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভারতে স্থানীয় অংশীদারিত্ব ছাড়াই স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে ক্যাম্পাস স্থাপন করতে পারবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার দেশে বসেই বিদেশের ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা! না কোনও পাসপোর্ট-ভিসার হয়রানি, না শিক্ষাঋণের দ্বারস্থ হওয়ার দায়, না থাকা-খাওয়া নিয়ে সংকটে পড়ার আশঙ্কা। এবার আপনি দেশে বসেই ইয়েল, অক্সফোর্ড ও স্ট্যানফোর্ডের মতো শীর্ষস্থানীয় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়ার সুযোগ পাবেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ভারতে ক্যাম্পাস স্থাপন করতে দেওয়ার পথে আরও একটু এগোল ভারত। জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া জানতে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত একটি খসড়া আইনও প্রকাশ করেছে।
খসড়ায় প্রথমবারের মতো ভারতে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপন এবং তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দেশ ও বিদেশের শিক্ষার্থীদের ভর্তিপ্রক্রিয়া, ফি কেমন হবে এবং বৃত্তি প্রদানের মতো বিষয়গুলি স্থানীয় ক্যাম্পাস ঠিক করতে পারবে। শিক্ষক ও কর্মী নিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বায়ত্তশাসন থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চূড়ান্ত খসড়াটি অনুমোদনের জন্য পার্লামেন্টে আনা হবে। সেখানে তা পাস হলে এরপর সেটি আইনে পরিণত হবে। ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের মাইক্রোসফট, অ্যালফ্যাবেট-সহ বিভিন্ন কোম্পানিতে বড় বড় পদে চাকরি করতে দেখা যায়। তবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলিই এখনও আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং-এ পিছিয়ে।
আরও পড়ুন: Shankar Mishra: বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে পলাতক শঙ্কর মিশ্র গ্রেফতার বেঙ্গালুরুতে
কেন ভারত এটা করতে চলেছে?
মূলত দুটি কারণ। অপেক্ষাকৃত কম খরচে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা যেন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি, ভারতকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে ভারত সরকার। গ্লোবাল ট্যালেন্ট কমপিটিটিভনেস ইনডেক্স ২০২২ অনুযায়ী, বর্তমানে ১৩৩টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১০১তম। একটি দেশের মেধার বিকাশ, অন্য জায়গা থেকে মেধা আকর্ষণ করা ও তা ধরে রাখার ক্ষমতা বিবেচনা করে এই সূচকটি তৈরি হয়।
কিছু কিছু বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে কোলাবরেশনের ভিত্তিতে কাজ চালাচ্ছে। এই সহযোগিতার জেরে শিক্ষার্থীরা এখনই ভারতে (আংশিকভাবে) পড়াশোনার পরে বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ বড় বড় ক্যাম্পাসে তাঁদের ডিগ্রি সম্পন্ন করে নিতে পারেন। তবে, আগামী দিনে আইন করে যেটা হতে চলেছে তার জেরে এইসব বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা বিদেশি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভারতে স্থানীয় অংশীদারিত্ব ছাড়াই নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে ক্যাম্পাস স্থাপন করতে পারবে। ফলে আশা করা যায়, ভারতের মতো এত বিপুল মানবসম্পদ সম্পন্ন একটি দেশে নিজেদের শাখা খোলার ক্ষেত্রে তারা উৎসাহী হবে।